দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে উপরিভাগের মাটি কাটায় উর্বরতা হারাচ্ছে ফসলি জমি

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে উপরিভাগের মাটি কাটায় উর্বরতা হারাচ্ছে ফসলি জমি

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে জমির উপরিভাগের মাটি কাটার মহোৎসব। বোচাগঞ্জ উপজেলাসহ সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকায় কতিপয় ব্যবসায়ী কর্তৃক মিল কারখানা স্থাপন, ইটভাটার জন্য মাটি সংগ্রহ, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় কৃষি জমির উর্বর মাটি (টপ সয়েল) কাটায় শতশত হেক্টর কৃষি জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা শক্তি। উপজেলায় নদী খননের পর নদীর পার বেধে দেওয়া মাটিও চুরি হচ্ছে প্রকাশ্যে।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোন বাধা ও নিষেধ ছাড়াই তিন ফসলি জমির উপরিভাগ (টপ সয়েল) কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। জমির মাটি কেটে অবৈধভাবে ডাম্পট্রাকে তুলে তা আশপাশের বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। সারা বছর ধরে চললেও শীত মৌসুমে ব্যপকহারে চলছে এই ধ্বংসযজ্ঞ। সচেতন কৃষকরা বাধা দিয়েও মাটি বিক্রি থামাতে পারছেন না। এজন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

জানা যায়, বোচাগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি চক্র গ্রামের সহজ সরল কৃষকদের মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের তিন ফসলি জমির মাটি কিনে নিচ্ছে। যা পরবর্তীতে উচ্চমূল্যে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে তারা। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২০ শতাংশ জমির টপ সয়েল কাটা হয়েছে। তিন থেকে চার ফুট গভীর করে জমি থেকে মাটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মাটি পরিবহণে ট্রাক্টর ও ডাম্পট্রাক ব্যবহার করায় রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ পাকা সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এভাবে মাটি কাটায় একদিকে যেমন কৃষি জমি কমছে, অপরদিকে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। আগামীতে ওইসব জমিতে ফলন কম ও উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সচেতন কৃষকদের দাবি, জমির উপরিভাগের মাটি কাটা বন্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ণ কুমার সাহা জানান, কোন অবস্থাতেই জমির টপ সয়েল বা ফসলি জমির মাটি কাটা যাবে না। কৃষকরা অর্থের লোভে জমির টপ সয়েল বিক্রি করে নিজেই নিজের ক্ষতি করছে।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/152009