বছরের শেষ গান শাপলা’র ‘শিশির ভেজা পায়ে’
অভি মঈনুদ্দীন: বছরের শেষ গান হিসেবে এরইমধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শাপলা পালের কন্ঠে প্রকাশ পেলো ‘শিশির ভেজা পায়ে’ গানটি। হয়তো বা আজ ও কাল অন্য কোনো শিল্পীর মৌলিক গান প্রকাশও পেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ২০২৫ সালের শেষ মৌলিক গান হিসেবে শাপলা পালের ‘শিশির ভেজা পায়ে’ গানটিই প্রকাশিত আছে।
গানটি প্রকাশিত হয়েছে শাপলারই ইউটিউব চ্যানেলে ‘শাপলা পাল’-এ। গানটি লিখেছেন এই প্রজন্মের মেধাবী গীতিকার তারেক আনন্দ, সুর করেছেন খায়রুলী ওয়াসী, সঙ্গীতায়োজন করেছে সাউণ্ডহ্যাকার। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাসেল পাল এবং পুরো গানটির প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন অরজিৎ চৌধুরী।
গানটি প্রসঙ্গে শাপলা পাল বলেন,‘ মৌলিক গানের দিকে চলতি বছরটাতে একটু বেশিই মনোযোগ দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে আসলে হয়ে উঠলো না। বাজেট সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তারপরও শিশির ভেজা পায়ে গানটি বছরের শেষপ্রান্তে এসে প্রকাশ করতে পেরেছি, সেটা যেভাবেই হোক করেছি। ঈশ্বরের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। চমৎকার কথার একটি গান দেয়ার জন্য তারেক আনন্দ ভাইয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, সেইসাথে সুরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। পুরো প্রজেক্টটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা অরজিৎ-এর প্রতি। কারণ তার সর্বাত্বক সহযোগিতা ছাড়া এই গান কোনোভাবেই আলোর মুখ দেখতো না। ধন্যবাদ আমার গানের যারা নিয়মিত শ্রোতা দর্শক তাদের প্রতি। কারণ তারাও আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। আমি আরো বিশ্বাস করি একদিন হয়তো এমন সময় আসবে যেদিন আমার জীবনে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে অনেক সফলতা আসবে। সেইদিন ঈশ্বর আমার ভাগ্যে কবে রেখেছেন জানিনা, তবে আমি হতাশ নই-আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
শাপলা পাল চট্টগ্রামের মেয়ে। গানের ভুবনে তার পথচলা মা সঞ্জু পালের হাত ধরে। ছোটবেলা থেকেই শুদ্ধ সুরে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন তিনি একে একে ওস্তাদ অরুন বণিক, রাখাল নন্দী ও সুরবন্ধু অশোক চৌধুরীর কাছে। তার প্রথম মৌলিক গান ‘মনের সীমানা’এরপর একে একে আরো প্রকাশিত হয় ‘বৃষ্টি পায়ে’,‘ রাং দে মোরা প্রিয়া’,‘ আমার ঘরে শ্রাবণ ঝড়ে’,‘ মন বলে’,‘ ধোঁয়ার শহর’,‘ বিনয় করিগো প্রিয়’সহ আরো বেশকিছু গান। চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ মহিলা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স করার পর দেশের একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে তিনি মিউজিকে এমএস করছেন।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/151990