না ফেরার দেশে ‘ফুটবলের পিকাসো’ খ্যাত রবার্টসন

না ফেরার দেশে ‘ফুটবলের পিকাসো’ খ্যাত রবার্টসন

স্কটল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার ও নটিংহ্যাম ফরেস্টের কিংবদন্তি উইঙ্গার জন রবার্টসন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। এক সময় নটিংহ্যাম ফরেস্টের সফল ম্যানেজার ব্রায়ান ক্লফ তাকে দলের খেলায় শিল্পীর সঙ্গে তুলনা করে ‘আমাদের খেলার একজন পিকাসো’ বলেছিলেন।

জন রবার্টসনের নাম চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে নটিংহ্যাম ফরেস্টের ইউরোপীয় সাফল্যের ইতিহাসে।

১৯৮০ সালে ইউরোপীয় কাপের ফাইনালে জার্মান ক্লাব হামবুর্গকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখে ফরেস্ট। সেই ফাইনালে ম্যাচের একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি করেছিলেন রবার্টসন।

 

আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার। ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের জয়ে একমাত্র গোলটি করেছিলেন তিনি।

পরের বছর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে স্কটল্যান্ডের হয়ে চতুর্থ গোলটি আসে রবার্টসনের পা থেকে। ওই আসরে এটিই ছিল স্কটল্যান্ডের একমাত্র জয়।

স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে মোট ২৮টি ম্যাচ খেলেন জন রবার্টসন। গোল করেন ৮টি।

ক্লাব ক্যারিয়ারে তার সবচেয়ে উজ্জ্বল সময় কেটেছে নটিংহ্যাম ফরেস্টে। ১৯৭০ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ৩৮৬ ম্যাচে মাঠে নেমে ৬১ গোল করেন এই বাঁ প্রান্তের খেলোয়াড়। ডার্বি কাউন্টির হয়ে খেলেছেন ৭২ ম্যাচ, সেখানে তার গোল সংখ্যা ৩। ডার্বিতে দুই মৌসুম কাটানোর পর ১৯৮৫ সালে আবার নটিংহ্যাম ফরেস্টে ফেরেন তিনি। তবে দ্বিতীয় দফায় আর আগের ফর্মে দেখা যায়নি তাকে।
ওই সময়ে মাত্র ১১টি ম্যাচ খেলেন তিনি।

 

খেলা ছাড়ার পরও ফুটবলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন জন রবার্টসন। নটিংহ্যাম ফরেস্টের সাবেক সতীর্থ মার্টিন ওনিলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেন তিনি। এই দায়িত্বে থেকে ওয়াইকম্ব ওয়ান্ডারার্স, নরউইচ সিটি, লেস্টার সিটি, সেল্টিক ও অ্যাস্টন ভিলার মতো ক্লাবগুলোতে কোচিং করিয়েছেন।

তার মৃত্যুতে স্কটিশ ও ইংলিশ ফুটবলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নটিংহ্যাম ফরেস্ট ও স্কটল্যান্ড ফুটবলের ইতিহাসে জন রবার্টসন চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/151627