৩০ রাষ্ট্রদূতকে একযোগে প্রত্যাহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন

৩০ রাষ্ট্রদূতকে একযোগে প্রত্যাহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্কবিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রতিফলন নিশ্চিত করতে প্রায় ৩০ জন রাষ্ট্রদূত ও ঊর্ধ্বতন পেশাদার কূটনীতিককে প্রত্যাহার করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে সমালোচকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রত্যাহার হওয়া কূটনীতিকদের তালিকা প্রকাশ করেনি। দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি যেকোনো প্রশাসনের নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া। তার ভাষায়, রাষ্ট্রদূতরা প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি এবং প্রেসিডেন্টের অধিকার আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার, যারা যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে সক্ষম।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলো বলছে, যাদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে তারা মূলত পেশাদার কূটনীতিক, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং ছোট দেশগুলোতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কয়েকজনকে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই ফোনে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘আমেরিকান ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনটির মুখপাত্র নিকি গেমার একে অস্বাভাবিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এতে কূটনীতিকদের মনোবল ও বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এদিকে প্রায় ৮০টি রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও একযোগে এত কূটনীতিক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট জিন শাহীন। তিনি বলেছেন, যোগ্য কূটনীতিকদের সরিয়ে দিলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দুর্বল হবে এবং এর সুযোগ নেবে চীন ও রাশিয়া।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/151290