একনেকে ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প পাঁচটি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প তিনটি।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আটটি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন বা ক্লাইমেট রেজলিয়েন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোজেক্ট (সিআরএএলইপি)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER) প্রকল্প।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলক নদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision) প্রকল্প’।
এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।