তরুণ প্রজন্ম ভিনদেশিদের দাদাগিরি কখনো মেনে নেবে না: মুজিবুর রহমান

তরুণ প্রজন্ম ভিনদেশিদের দাদাগিরি কখনো মেনে নেবে না: মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কখনোই ভিনদেশীদের আধিপত্য বা দাদাগিরি মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না। তরুণদের নেতৃত্বেই আধিপাত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের পরাজয় ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শহীদ ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আয়োজিত বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এদেশের জনগণ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। অথচ বিজয়ের দিনে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর কাছে আত্মসমর্পণ না করে ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খাটো করা হয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারত কখনোই চায়নি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা ছিনতাই হয়েছিল, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই কারণে পরাজিত আধিপাত্যবাদ ও ফ্যাসিস্ট শক্তি তরুণ যোদ্ধাদের টার্গেট করে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, এটি কেবল একজনের ওপর হামলা নয়, বরং পুরো জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের ওপর আঘাত। তবে বিপ্লবী তরুণেরা কোনো পরাজিত শক্তির কাছে মাথা নত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করলেও তা ছিল নিজেদের স্বার্থে। বন্ধু সেজে তারা বাংলাদেশকে শোষণ করেছে এবং দেশের সম্পদ লুট করেছে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলেছে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে তারা দেশপ্রেমিক নয়, বরং যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির বলেন, প্রতি বছর বিজয় দিবস এলেও মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জাতির সামনে তুলে ধরা হয় না। ফলে তরুণ প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে না। তিনি দাবি করেন, ভারতের কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় ও স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছিল। সেই জিম্মিদশা থেকে দেশকে মুক্ত করতেই তরুণ প্রজন্ম চব্বিশের বিপ্লব সংগঠিত করেছে।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/150302