বগুড়ায় ফুলের মালা বানাতে ব্যস্ত ছিলেন কারিগররা
স্টাফ রিপোর্টার: মহান বিজয় দিবসে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বগুড়ার ফুল মার্কেটে ফুল বিক্রির ধুম পড়ে যায়। দুই তিনদিন আগে থেকে নেয়া সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যক্তির অর্ডারের ফুলের তোরন, মালাসহ ফুলের গুচ্ছ বানোনোতে ব্যস্ত দিন পার করেছেন ব্যবসায়ীরা।
দিনটিকে ঘিরে সাধারণ ক্রেতারাও তাদের সন্তানদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং শেখাতে ফুল কিনতে ছুটছেন দোকানগুলোতে। এতে সারাটা দিন প্রতিটি দোকানে দোকানে চলেছে ফুল বেচা-কেনা।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরের পর মার্কেটে দুই ছেলে-মেয়ে আদ্রিতা ও সজীবকে নিয়ে বাবা আব্দুল আলিম এসেছিলেন ফুল কিনতে।
বললেন, এদেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে রক্ষা করতে যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে ফুল কিনতে এসেছেন। ওরা জানুক, বুঝুক এবং শহীদদের জন্য একরাশ ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জন্মাক এজন্যই নিয়ে আসা।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সোমবার বিকেলে বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্ক রোডের ফুল মার্কেটসহ আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ছিল ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরা, ডালিয়াসহ হরেক রকমের ফুল। ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি দিবসে আগে থেকেই বগুড়া সহ যশোর থেকে বেশিভাগ ফুল সংগ্রহ করেন।
সারাবছরই বগুড়াতে ফুল বিক্রি হলেও দিবসগুলো বেশি ফুল বিক্রি করেন তারা। গত দুই বছর হলো একটু ঢিমে তালে ব্যবসা চলছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর পর্যন্ত তেমন জমেনি বলে জানান ফুল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। জেলা ফুল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো: স্বপন ইসলাম বলেন, প্রতিবছর দিবসগুলোতে ভাল বেচা-কেনা হয়।
এবারও সেই হিসেবে ফুলের যোগান বাড়ানো হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত মার্কেটের ১৭টি দোকানে যোগানের বিপরীতে বেচাকেনা কম ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ব্যবসায়ী লগ্নি করা পুঁজি উঠে আসবে বলে আশাবাদী তিনি। তারা আরও বলেন, বড় আকারের প্রত্যেকটি ফুলের তোড়া ১৫০০-২০০০ টাকা, মাঝারি আকারের ৮০০-১০০০ টাকা ও ছোট আকারের ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/150207