বগুড়ার শিবগঞ্জে কুমড়া বড়ি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন গৃহিনীরা

বগুড়ার শিবগঞ্জে কুমড়া বড়ি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন গৃহিনীরা

মোকামতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: শিবগঞ্জের লক্ষীকোলাসহ কয়েক গ্রামের গৃহবধুরা কুমড়া বুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীতের দিনে এই এলাকার  গ্রাম বন্দর ও  শহরের প্রায় সব ঘরে ঘরে চলছে এ বড়ি তৈরির কাজ। তবে বেশিরভাগ গৃহিণী নিজেদের খাওয়ার জন্য তৈরি করছেন কুমড়া বড়ি।

আবার অনেকেই কুমড়া বড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসারের বাড়তি আয় করছেন। শীত মৌসুম শুরু থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় বাড়ির চালে অথবা মাচায় শোভা পাচ্ছে কুমরো শুকানোর দৃশ্য।

এক কথায় কুমড়া বরি তৈরি ধুম পড়েছে গ্রামে গ্রামে। শীতের সকালে গৃহিণীরা  বাড়ির উঠানে কিম্বা ফাঁকা জায়গায় মাদুর বিছিয়ে বড়ি বানানোর কাজ করছেন। মাস কালাই ডালের সঙ্গে চাল কুমড়া অথবা ধানের আটা মিশিয়ে শীলপাটায় বেটে কুমরো বড়ি তৈরি করছেন। সাধারণত কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ মাস কুমড়া বড়ি তৈরি করা হয়।

৩ থেকে ৪ দিন কড়া রোদে শুকিয়ে প্রস্তুত করা হয় সুস্বাদু এই বড়ি। উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তি রানী বেড়াইল গ্রামের লক্ষী রানী মাধবী রানী, রামচন্দ্রপুর গ্রামের কল্পনা রানী, ময়ূরী দাস ও লাবনী দাসসহ অনেকে এই ক’মাস কুমড়া বড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসারের বাড়তি আয় করছেন।

শীতের কুমরো বড়ি ছাড়া তরকারি রান্না যেন অপূর্ণ। সব ধরনের তরকারিতে বাড়তি সুস্বাদ এনে দেয় কুমড়া বড়ি। মৌসুমী ব্যবসায়ী সান্তনা রানী দলিল রানী জানান, শীতে ৩ থেকে ৪ মাস কুমড়া বড়ি বিক্রি করে সংসার বেশ ভালোভাবেই চলে।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/149979