চট্টগ্রামে থেকেও আলোচিত ঐশী রক্ষিত
অভি মঈনুদ্দীন ঃ চট্টগ্রামের মেয়ে ঐশী রক্ষিত, ছোটবেলা থেকেই গান করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র’র ফেসবুক পেজ ‘বিটিভি চট্টগ্রাম’ পেজ এ বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বেবী নাজনীনের গাওয়া ‘দুচোখে ঘুম আসেনা’ গানটি গেয়ে আলোচনায় চলে আসেন।
গানটি ঐশী এতোটাই ভালোভাবে গেয়েছেন যে যারাই গানটি শুনছেন তারাই ঐশীর কন্ঠের ভীষণ প্রশংসা করছেন। কারণ বেবী নাজনীনের গান গাওয়া সহজ কোনো বিষয় নয়। তাই ঐশীকে নিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নতুন আশার আলো দেখছেন অনেকেই। অনেকেই ঐশীকে গানের ভুবনের নতুন বিষ্ময় হিসেবেও দেখছেন। ছোটবেলায় ঐশীর গানের হাতেখড়ি তার পিসি লিপি সিনহার কাছে। এরপর মনীশ চৌধুরী, পণ্ডিত নির্মলেন্দু গুনের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত,কাজল মজুমদারের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীত, শিক্ষক রহিম ও রতন রাহার কাছে ফোক গান, ননী গোপাল আচার্য্যরে কাছে শ্যামা সঙ্গীত ও সর্বশেষ কিছুদিন সুরবন্ধু অশোক চৌধুরীর কাছে গজল ও রাগের তালিম নিয়েছেন।
এরইমধ্যে ঐশীর কন্ঠে বেশকিছু মৌলিক গানও প্রকাশিত হয়েছে।
যারমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘চোখে দুটো যে চোখের জলে ভিজছে ( কথা মুনশি ওয়াদুদ, সুর অপু আমান), ‘পূর্ণিমা রাত হাতে রেখে হাত’ (কথা হুমায়ূন চৌধুরী, সুর হোসেন শাহ), ‘তুমি আসবে বলে’ (কথা হুমায়ূন চৌধুরী, সুর মোঃ হোসেন), ‘এ আমার শেষ চিঠি’ (কথা ও সুর আব্দুল মান্নান রানা)। প্রত্যেকটি গানই ‘বিটিভি চট্টগ্রাম’ ফেসবুক পেজ-এ প্রকাশিত আছে। আছে ইউটিউব চ্যানেলেও। যেহেতু ঐশী পড়ছেন চট্টগ্রামের সরকারী সিটি কলেজে বাংলা সাহিত্যে অনার্স তৃতীয় বর্ষে। তাই চাইলেই ঢাকায় এসে পেশাগতভাবে ব্যস্ত হতে পারছেন না। তাই তিনি আপাতত চট্টগ্রামে থেকেই যতোটুকু পারছেন গানে গানে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ঐশীর বাবা প্রদীপ রক্ষিত চট্টগ্রামেই মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুম্যান্টের ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ের ‘ঐকতান মিউজিক্যাল’ ঐশীর বাবারই দোকান। ঐশীর মা ঝুমকা রক্ষিত ও একমাত্র ছোট ভাই প্রীতম।
২০২১ সালে ঐশী বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং তারও আগে বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। ঐশীর প্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, বেবী নাজনীন।
ঐশী বলেন,‘ চেষ্টা করছি ভালোভাবে গান গাইতে। চট্টগ্রামের বিটিভি কেন্দ্র থেকে প্রায়ই ডাক আসে, মন দিয়ে সুরে থেকে গাইবার চেষ্টা করি। চট্টগ্রাম ও তার আশেপাশের এলাকাতেও স্টেজ শোতে গাই। সবমিলিয়ে গানে গানে বেশ ভালো ব্যস্ততা। তবে পড়াশুনা শেষে ভবিষ্যতে শিক্ষতা ও বা ব্যাংকের সাথে পেশাগতভাবে যুক্ত হলেও গান গাওয়া কোনোদিনই ছাড়বো না।’
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/149946