বগুড়ায় আদালত থেকে সন্ধ্যায় পালানো আসামি, রাতে গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় আদালতে পুলিশ হেফাজত থেকে সন্ধ্যায় পালিয়ে যাওয়া আসামি শাহিন ওরফে মিরপুর (২০)কে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের শহতেলীর সাবগ্রাম এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করে।
এঘটনায় আদালতে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এতথ্য নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর মো: শহিদুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের হাজত খানা থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে উঠানোর সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় শাহিন ওরফে শাহিদ ওরফে মিরপুর নামে এক পকেটমার। সে বগুড়া শহরতলীর সাবগ্রাম(চানপুর) গ্রামের নুর আলমের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে শহরের থানারোডে পকেট মারার সময় জনগন তাকে আটক করে মারধর করে।খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেন। ভুক্তভোগীদের কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় সদর থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার শাহিদ ওরফে মিরপুরকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
তার পক্ষে কেউ জামিনের আবেদন না করায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর শাহিদ ওরফে মিরপুরকে আদালত হাজত খানায় রাখা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে হাজত খানা থেকে প্রিজনভ্যানে উঠানোর সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের সামনেই দৌড়ে পালিয়ে যায় শাহিন ওরফে মিরপুর।
এঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আদালতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হাজত খানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম হোসেন,সহকারি টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন কনস্টেবল আব্দুল জলিল,শহীন মিয়া ও গোলাম মোস্তফাকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো: ইকবাল বাহার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে শহরতলীর সাবগ্রাম এলাকা থেকে শাহিদ ওরফে মিরপুরকে ফের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) তাকে থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/149832