কিইউদের বিপক্ষে ক্যারিবিয়দের অবিশ্বাস্য ড্র
স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৫৩১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন বিকেলেই ৭২ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ক্যারিবিয়ানরা। দল যখন চতুর্থ দিনেই বড় হারের শঙ্কায়, তখন জাস্টিন গ্রেভসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শেই হোপ। পঞ্চম দিনে হোপ ফিরলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার প্রদীপ হয়ে থাকেন গ্রেভস। শেষ পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকা কেমার রোচকে নিয়ে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয় না এলেও জয়ের সমান ড্র এনে দিয়েছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের করা ২৩১ রানের জবাবে ১৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬৬ রান করে কিউইরা ইনিংস ঘোষণা করলে ক্যারিবিয়ানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৩১ রানের। চতুর্থ দিন বিকেলে হোপ-গ্রেভসের বীরত্বের পর ৪ উইকেটে ২১২ রান তুলে দিন শেষ করে ক্যারিবিয়ানরা। শেষ দিনে দরকার ছিল ৩১৯ রান, হাতে ৪ উইকেট। এদিন ২ উইকেটে ২৪৫ রান করলে ড্র হয় ম্যাচ। টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড ইংল্যান্ডের দখলে। ১৯৩৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৫৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৫১ রান করার রেকর্ড এই নিউজিল্যান্ডের। ২০০২ সালে এই ক্রাইস্টচার্চেই ইংলিশদের বিপক্ষে কীর্তিটি গড়েছিল কিউইরা।
হোপ ১৪০ রান করে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত ২০২ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রেভস। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সপ্তমবারের মতো কোনো ক্রিকেটার দ্বিশতক হাঁকালেন। ৭ জনের মধ্যে গ্রেভসকে নিয়ে ৪ জনই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। সবশেষ কীর্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ২০২১ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১০ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স। কিউইদের বিপক্ষে এদিন উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কেমার রোচ। ২৩৩ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৮টি চারে এই ইনিংস খেলেছেন তিনি। এদিন টানা পঞ্চাশেরও বেশি ডট বল খেলেছেন রোচ। গ্রেভসের সঙ্গে অপরাজিত ১৮০ রানের জুটি গড়েন তিনি।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/149139