মৌসুমের শুরুতেই বগুড়ার বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় ধাক্কা
স্টাফ রিপোর্টার : প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে নতুন পেঁয়াজের মৌসুম। গত সপ্তাহের তুলনায় বগুড়ার বাজারগুলোতে বেড়েছে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ। বাজারগুলোতেও দেখা গেছে পর্যাপ্ত নতুন-পুরাতন মসলাজাতীয় সবজিটির সরবরাহ। তারপরেও এক রাতের ব্যবধানে পণ্যটির দামে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
বগুড়ার ফতেহ আলীসহ শহরের বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুই দিন আগে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) তা দাম বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক রাতের ব্যবধানে পুরাতন পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
পর্যাপ্ত সরবরাহ সত্ত্বেও মৌসুমের শুরুতে পণ্যটির এমন দাম বাড়ানোকে অস্বাভাবিক মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, পাইকারি ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত সরবরাহের পরেও পেঁয়াজের দাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।
এদিকে সাধারণ ভোক্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে সরবরাহ, এখন দাম কমার কথা, উল্টো এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বাড়া অস্বাভাবিক ঘটনা। এখনই এ ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এছাড়াও বগুড়ার বাজারগুলোতে আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, নতুন আলু ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, ছিম ও করলা ৮০, গাজর, ঝিংগা, পটল ও কাঁচামরিচ ৬০, মূলা ও কপি ৩০, টমাটো ১০০, শশা ৫০, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও আদার কেজি ১৪০ এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়।
এদিকে বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন চাল। আমন মৌসুমের নতুন গুটিস্বর্ণা ও রঞ্জিত চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও বিআর-২৮ চাল ৫৬/৫৭, বিআর-৪৯ চাল ৬০, কাটারিভোগ ৭০/৭২, নাজিরশাইল ৮০/৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। আটা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৫৫ এবং ময়দা ৬৫ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
চিনির কেজি ৯৫, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০, দুই লিটার ৩৭৫ এবং পাঁচ লিটার তেল ৯১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি ৪০, দেশি মুরগির কেজি ৫২০, ব্রয়লার ১৫০ এবং ককরেল মুরগি ২৪০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। গরুর মাংস ৭২০/৭৫০ এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা।
এদিন আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩২০ টাকা এবং দুই কেজি ওজনের রুই মাছ ৩শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। আর এই বাজারে এদিন ইলিশ মাছের সরবরাহ কম লক্ষ্য করা গেছে। সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ইলিশ সাড়ে ৬শ’ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার ২শ’ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148971