স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড পেল ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড পেল ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করেছে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক ও বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল আই। এই দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে এবার ১০ম বারের মতো দেয়া হলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজিত এক গালা অনুষ্ঠানে কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর ড.আহসান এইচ.মনসুর।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড–চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজসহ কৃষি বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং উন্নয়ন সহযোগীরা। ২০২৫ সালের বিজয়ীরা কৃষি আবাদ, গবেষণা, জলবায়ু অভিযোজন, কমিউনিটি উন্নয়ন এবং নগর কৃষির মতো নতুন ক্ষেত্রগুলোতে ব্যতিক্রমী সাফল্য দেখিয়েছেন। বিজয়ীদের তালিকা: আজীবন সম্মাননা: প্রফেসর ড. আব্দুল হালিম, সেরা কৃষক – নারী: আনোয়ারা খান ডলি, সেরা কৃষক – পুরুষ: আক্কাস খান, পরিবর্তনের নায়ক: আব্দুস সালাম, বছরের সেরা মেধাবী সংগ্রামী – নারী: পারভীন আক্তার, বছরের সেরা মেধাবী সংগ্রামী – পুরুষ: আব্দুল গফুর, সেরা কৃষি সাংবাদিক: রিয়াজ আহমেদ, সেরা জলবায়ু অভিযোজক: বার্ষিক, সেরা ছাদকৃষি উদ্যোক্তা (নতুন বিভাগ): হোসনে আরা, সেরা প্রতিষ্ঠান (গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি): নেমল্যাব, সেরা প্রতিষ্ঠান (সহায়তা ও বাস্তবায়ন): কৃষি বাজার লিমিটেড।

প্রায় পাঁচ শতাধিক আবেদনের ভেতর থেকে বাছাই শেষে জুরি বোর্ড উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেন। জুরি বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মজিদ, কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ড. এ কে এম নওশাদ আলম, এফএও এর সিনিয়র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম স্প্যাশালিস্ট ড. অনীল কুমার দাস, এবং ওটার এইডের ক্লাইমেট রিজিলেন্স প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম লিড জাকিয়া নাজনীন।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, এই বছরটি বিশেষ, কারণ এটি আগ্রো অ্যাওয়ার্ডের ১০ম আসর এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ১২০ বছরের যাত্রা উদযাপনের বছর। কৃষি শুধু অর্থনীতির একটি খাত নয়; এটি আমাদের জাতির অগ্রগতির দৃঢ় ভিত্তি, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবন সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আজ আমরা যে অনুপ্রেরণাদায়ী গল্পগুলো জানবো, বিশেষ করে নতুন সেরা ছাদকৃষি উদ্যোক্তা, তা দেখায় কীভাবে যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি ও সম্মিলিত প্রয়াস টেকসই উন্নয়নের পথে ছোট পদক্ষেপকে বিশাল সাফল্যে পরিণত করতে পারে। আমরা চ্যানেল আই–এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বে গর্বিত এবং সকল সম্মানিত বিজয়ীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাদের নিবেদন ও উদ্ভাবনী কর্মধারা বাংলাদেশের একটি নিরাপদ ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করছে।

চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও প্রধান বার্তা সম্পাদক শাইখ সিরাজ বলেন, করোনাকালীন স্থবিরতা ও পরবর্তী বিশ্ব অস্থিরতার ভেতরও যারা আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে সুস্থির রেখেছে তারা আমাদের কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা এবং কৃষি গবেষক। এই অসাধারণ কর্মযজ্ঞ যারা সম্পাদন করছেন, তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে আমরা তাদের সম্মানিত করতে পেরে নিজেরা সম্মানিত বোধ করছি। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক অস্থিরতার বহুমুখী সংকটময় আগামীর অনিশ্চিত দিনে কৃষিই হতে পারে উত্তরণের একমাত্র পথ। এই মহৎ উদ্যোগে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে পাশে পেয়ে আমরা আনন্দিত। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড–চ্যানেল আই আগ্রো অ্যাওয়ার্ড এখন দেশের কৃষি উৎকর্ষ সাধনের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148834