দিনাজপুরে জুলাইযোদ্ধা রাহুল হত্যা মামলায় ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দিনাজপুরে জুলাইযোদ্ধা রাহুল হত্যা মামলায় ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : দিনাজপুরে জুলাই যোদ্ধা রাহুল হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও সাবেক হুইপ ইকবাল রহিমসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি গত বছর ১৯ আগস্ট দিনাজপুর উপ-শহর ৭নং ব্লকের বাসিন্দা মো. সাহার উদ্দিনের ছেলে বিএনপি নেতা মো. রুহান হোসেন বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় দায়ের করেন। মামলাটি স্পর্শ কাতর হওয়ায় পিবিআই পুলিশের কাছে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় পৃথক ৩টি হত্যা মামলা কোতয়ালী থানায় দায়ের রেকর্ড করা হয়। ওই পৃথক ৩টি মামলা একই ঘটনায় দায়ের হওয়ায়, একত্রে তদন্ত কার্যক্রম চালানোর জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে কার্যক্রম শুরু করা হয়। মামলা তদন্ত কার্যক্রম প্রাপ্ত আলামত, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও সার্বিক বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য পিবিআই পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য পেশ করা হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সম্প্রতি দিনাজপুর সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অভিযোগপত্র পেশ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে তালিকা ভুক্ত আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু ইবনে রজব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার প্রমুখ।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, শশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী রানা, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য রাকিবুল ইসলাম মিঠুনসহ ১৫৬ জন।

সূত্রটি জানায়, মামলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৫৯ জনকে সাক্ষী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আলামত হিসেবে শহিদ রবিউল ইসলাম রাহুল এর শরীর থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা ছররা গুলি, তার পরনের রক্তমাখা জামা কাপড়সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। শহিদ রবিউল ইসলাম রাহুলকে গত বছর ১০ আগস্ট তার পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শহিদ রবিউল ইসলাম রাহুল এর বাবা মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষে অভিযুক্ত পেশ করা হয়েছে। এজন্য তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148830