সাড়ে ১১ বছর আগে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে ফের অভিযান

সাড়ে ১১ বছর আগে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে ফের অভিযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাড়ে ১১ বছর আগে চীনের বেইজিং যাওয়ার উদ্দেশে কুয়ালালামপুর থেকে উড্ডয়ন করে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। এমএইচ৩৭০ নম্বরের ফ্লাইটটি উড্ডয়নের ঘণ্টাখানিকের মাথায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। এরপর সেটির আর খোঁজ মেলেনি।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ২৩৯ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট নিখোঁজের ঘটনাটি আজও এভিয়েশন খাতে অন্যতম বড় রহস্য হয়ে আছে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ জানতে ৩০ ডিসেম্বর থেকে আবার অনুসন্ধান শুরু হবে। এই অনুসন্ধান চলবে ৫৫ দিন। গত মার্চ মাসে অভিযান শুরু হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমকে মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির খোঁজ করার বিষয়ে সরকার নিখোঁজ যাত্রীর স্বজনদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নতুন অভিযান সেই প্রতিশ্রুতির অংশ।

নিখোঁজ উড়োজাহাজটি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের। এর খোঁজ করবে ওশান ইনফিনিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রী লোক সিউ ফুক জানিয়েছেন, খোঁজ পেলে পারিশ্রমিক পাবে ৫৬ মিলিয়ন পাউন্ড। না পেলে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। উড়োজাহাজটির খোঁজে এর আগেও অভিযান হয়েছিল। এতে অংশ নিয়েছিল ২৬টি দেশের ৬০টি জাহাজ ও ৫০টি উড়োজাহাজ। শেষ হয় ২০১৮ সালে। পরের বছর অনুসন্ধান শুরু করে ওশান ইনফিনিটি। সেটি তিন মাসের মাথায় শেষ হয়। 

নিখোঁজ হওয়ার সময় রাডারে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি নির্ধারিত পথ থেকে হঠাৎ সরে গেছে। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম হয়। এর মধ্যে ছিল-পাইলট ইচ্ছা করে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত করেছেন, নয়তো এটি ছিনতাই হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি তদন্তে দেখা যায়, উড়োজাহাজটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্ভবত জেনে বুঝে বিকৃত করা হয়েছিল, যাতে সেটি নির্ধারিত পথ থেকে সরে যায়। কিন্তু তখন এর কারণ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। তদন্তকারীরা তখন বলেছিলেন, ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেই কেবল সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া সম্ভব।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148794