বগুড়ায় হিন্দু ধর্ম সভার অর্থ আত্মসাতের মামলা পুনঃরায় তদন্তের নির্দেশ

বগুড়ায় হিন্দু ধর্ম সভার অর্থ আত্মসাতের মামলা পুনঃরায় তদন্তের নির্দেশ

কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা হিন্দু ধর্মসভার তৎকালীন কমিটির ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে সরকারি অনুদানের টাকাসহ ১ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলা পুনঃরায় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক’র দাখিলি তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট বাতিল করে রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত কর্তৃক মঞ্জুর করা হয়। সেই সঙ্গে এই সেই সাথে দুর্নীতি দমন কমিশনকে মামলাটি পুনঃরায় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শহরের জলেশ্বরীতলার মৃত সুরেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক বাসুদেব চন্দ্র সরকার বাদি শহরের জলেশ্বরীতলা হিন্দু ধর্মসভার তৎকালীন কমিটির ৬ সদস্য যথাক্রমে- হরিলাল বাহাদুর ছেত্রী, সোম্য লাহিড়ী, অজয় কুমার দাস, দেবাশীষ রায়, প্রদীপ কুমার সাহা ও অদিতী সিনহা আগমনীকে আসামি উল্লেখ করে ২০২১ সালে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই আসামিরা হিন্দু ধর্ম সভার কমিটির সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে হিন্দু ধর্মসভা নিয়ন্ত্রিত কালি মন্দির, দুর্গা মন্দির, শনি মন্দিরের জেলা পরিষদের অনুদানসহ বিভিন্ন সরকারি খাতের ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ধর্ম সভার নিজস্ব আয় ও বিল্ডিং ভাড়ার টাকা ও দোকান ঘর ভাড়ার টাকাসহ মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা যোগসাজসে আত্মসাত করেছে।

স্পেশাল জজ আদালত থেকে মামলাটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। দুদক বগুড়া জেলা কর্য়ালয় থেকে মামলাটি ঢাকায় দুদক’র প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। পরে দুদক’র প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দুদক জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম বাদি ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি ওই ছয়জনকে আসামি করে জেলা কার্যালয়ে নিয়মিত মামলা (এজাহার) দয়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন প্রাপ্তির পর ওই ছয় আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতির প্রার্থনা জানিয়ে দুদক বগুড়ার উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাত হোসেন গত ১৮ মার্চ সইকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অভিযেগকারী বাসুদেব সরকার নারাজি দরখাস্ত বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করেন।

সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. শাহজাহান কবির গত ১০ নভেম্বর শুনানি শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলি চূড়ান্ত রিপোর্ট নামঞ্জুর করে নারাজি দরখাস্ত মঞ্জুর করেন এবং মামলাটি দুদককে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148615