হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত চাল আসায় কমেছে দাম, আমদানির সময় শেষ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত চাল আসায় কমেছে দাম, আমদানির সময় শেষ

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে প্রায় দুই লাখ ২৪ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ৬ হাজার ১৮০টি ভারতীয় ট্রাকের মাধ্যমে এসব চাল দেশে আমদানি করা হয়। গতকাল রোববার ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা শেষ বলে জানিয়েছেন হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. তারেক আজিজ।

হিলি স্থলবন্দরের চালের মোকাম ঘুরে দেখা যায়, আমদানিকৃত ভারতীয় স্বর্ণা-৫ জাতের চাল পাইকারি ৪৭-৪৮ টাকা ও খুচরা ৪৮-৫০ টাকায় এবং শম্পা জাতের চাল পাইকারি ৬১-৬৪ টাকা যা খুচরা ৬৬-৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশীয় স্বর্ণা-জাতের নতুন ধানের চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৭-৪৮ টাকা কেজিতে। এখনও পুরোপুরি আমন ধানের চাল বাজারে আসেনি।

হিলি বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতারা জানান, ভারত থেকে চাল আমদানি হওয়ার পর থেকে চালের দাম কমেছে। সবধরনের চাল প্রতি কেজিতে অন্তত ৩-৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। নতুন ধানের চাল বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম আরও কমে আসবে। তাতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে না।

আমদানিকারকরা জানান, সরকারের আহ্বানে আমরা আমদানিকারকরা ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছি। দেশে চালের দাম যেন বৃদ্ধি না পায় সেজন্য আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে দেশে চালের দাম নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে কোনো অস্থিরতা তৈরি হয়নি।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছরের ১২ আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ১৮০টি ভারতীয় ট্রাকের মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ ২৪ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল দেশে আমদানি করা হয়েছে। এরমধ্যে আতপ চালের পরিমাণ দুই হাজার মেট্রিক টনের কম।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) মো. তারেক আজিজ বলেন, দেশে চালের দাম সহনীয় রাখতে সরকার আমদানি করার অনুমতি দেয়। ১২ আগস্ট থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চাল আমদানির সময়সীমা ছিল। এরপর সরকার অনুমতি না দিলে চাল আমদানি বন্ধ থাকবে। তবে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনো চিঠি আমাদের কাছে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, চাল আমদানিতে শুল্ক নেই। তবে দুই শতাংশ অগ্রীম আয়কর (এআইটি) দিয়ে ব্যবসায়ীরা বন্দরের কাস্টমস থেকে এসব চালের চালান খালাস করতে পারছেন।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148553