বন্ধ থাকলেও খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ : ঘরের যে ৬ ইলেকট্রনিক যন্ত্র বাড়িয়ে দিচ্ছে বিল!

বন্ধ থাকলেও খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ : ঘরের যে ৬ ইলেকট্রনিক যন্ত্র বাড়িয়ে দিচ্ছে বিল!

আধুনিক জীবনযাত্রায় বিদ্যুৎ মানুষের অপরিহার্য অংশ। ঘরে প্রতিদিন ছোট-বড় যন্ত্রের ব্যবহার আমাদের জীবনকে সহজ করে, কিন্তু অনেকে জানেন না যে অনেক ইলেকট্রনিক যন্ত্র বন্ধ থাকলেও ‘ভ্যাম্পায়ার এনার্জি’ হিসেবে বিদ্যুৎ টানে এবং মাসিক বিল বাড়িয়ে দেয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের (U.S. Department of Energy) তথ্য অনুযায়ী, এই অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ খরচ বছরে গড়ে ১০০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত বাড়াতে পারে। গড়ে একটি পরিবারের মোট বিদ্যুৎ খরচের প্রায় ১০ শতাংশই এই খরচে নষ্ট হয়।

জেনে নিন ঘরে কোন ৬টি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ টেনে নেয়—

১. টেলিভিশন (টিভি)
স্মার্ট টিভিতে নানা অনলাইন ও সেন্সর ফিচার থাকে, তাই সুইচ অফ করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু ফাংশন সচল থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে টিভির স্ট্যান্ডবাই মোডে বছরে গড়ে ১৪.৫৪ পাউন্ড অতিরিক্ত খরচ হয়।

২. ভিডিও গেম কনসোল
এক্সবক্স বা অন্যান্য কনসোল স্ট্যান্ডবাই অবস্থাতেও বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ শতাংশ পরিবারের অন্তত একটি কনসোল থাকায় এ থেকে বিদ্যুৎ অপচয় বিপুল।

৩. প্রিন্টার
প্রিন্টারের প্লাগ বন্ধ না রাখলে ব্রিটিশ পরিবারগুলো বছরে প্রায় ৪ পাউন্ড পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বাড়ায়।

৪. সেট-টপ বক্স, ওয়াই-ফাই রাউটার ও ডিভিডি প্লেয়ার
সেট-টপ বক্স ব্যবহার করলে বছরে প্রায় ৫০ ডলার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়, কারণ এগুলোর প্লাগ সারাক্ষণ সকেটে থাকে। একইভাবে ডিভিডি বা ব্লু-রে প্লেয়ার এবং ওয়াই-ফাই রাউটারও সারাক্ষণ অন থাকে, ফলে অবিরাম বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। অধিকাংশ মানুষ রাউটার বন্ধ করতে চান না, যা ‘ভ্যাম্পায়ার এনার্জি’র বড় উৎস।

৫. রান্নাঘরের ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্র
মিক্সার, টোস্টার, কফি মেকার, রাইস কুকার ইত্যাদি অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার হলেও সারাদিন সকেটে লাগানো থাকলে বছরে ১০–২০ ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়।

৬. মোবাইল চার্জার
চার্জ শেষ হওয়ার পরও চার্জার সকেটে থাকলে বিদ্যুৎ খরচ অব্যাহত থাকে। রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমালে প্রতি মাসে কয়েকশ টাকা পর্যন্ত বাড়তি বিল আসা অস্বাভাবিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রের প্লাগ খুলে রাখলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, বিল কমবে এবং পরিবেশও রক্ষা পাবে। এই ছোট ছোট অভ্যাসই বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148214