পাবনায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ২০

পাবনায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ২০

ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে পাবনার ঈশ্বরদীতে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুরের পাশাপাশি অন্তত চারটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আলহাজ্ব মোড় চর গড়াগড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের  নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

জামায়াত প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচার শেষে ফেরার পথে বিএনপির হাবিবের সমর্থকেরা তাকে হত্যার উদ্দেশে তার নেতাকর্মী ও গাড়িবহরে হামলা চালায়। 

হাবিবের নির্দেশেই এ হামলা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এতে তাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলায় ধারালো অস্ত্র ব্যবহার ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। তিনি দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

ঘটনার পর পাবনা শহরে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। তারা বিএনপির নেতা হাবিবসহ তার সমর্থকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এদিকে ঘটনার পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় ধর্মের মিথ্যা কথা বলে ভোট চাইছে। 
 
আমাদের নেতাকর্মীদের নানাভাবে ভয়ভীতিসহ হয়রানি করছে। আজকে তারা নির্বাচনী প্রচার মিছিল বের করে। এ সময় তারা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখে হামলা করে। তাদের আনা গাড়ি বহর থেকে অস্ত্র বের করে গুলি করেছে। তারা সুসজ্জিত অবস্থায় এলাকায় বিএনপির নেতাদের উপরে হামলার উদ্দেশ্যে এসেছিলো। তালেব মন্ডল নিজে গুলি করেছে। 
 
ঘটনার বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঘটনায় জামায়াত প্রার্থী আবুল তালেব মন্ডল নির্বাচনী প্রচার কাজে এসে আমাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের উপরে হামলা করেছে। আমাদের কৃষকদলের নেতাসহ সাধারণ গ্রামবাসী মিলিয়ে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন ।
 
জামায়াত সবসময় মিথ্যাচার করে বিএনপিকে ছোট করতে চায়। গ্রামবাসী যখন একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করেছে তখন তারা পালিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করবে পুলিশ। 
 
ঈশ্বরদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) প্রণব সাহা জানান, আসন্ন নির্বাচনের ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করেই ঈশ্বরদির সাহাপুর চর গড়গড়িতে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 
 
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা জামাতের আমির তালেব মন্ডলসহ তার নেতৃবৃন্দ ওই এলাকায় দলীয় প্রচারণায় করছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়৷ ঘটনায় বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
 
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কতজন প্রকৃতভাবে আহত হয়েছে সেটি বলতে পারছিনা।  
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148112