ছয় দিনব্যাপী ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আগামী ৭-১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় দিনব্যাপী ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২১ সদস্যের কমটি গঠন করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রুহুল কবির রিজভী এবং সদস্যসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
সদস্যরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্যসচিবঅ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, বগুড়া জেলা বিএনপির শাহেআলম, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহীন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা ও সদস্যসচিব কাজী আবুল হোসেন এ ছাড়া ড. সাইমুম পারভেজ, কৃষিবিদ ড. আবদুল মজিদ ও কামরুল ইসলাম।
৬ দিনের এই কর্মসূচি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষক দল ও ওলামা দলের উদ্যোগে পৃথকভাবে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন দলের সিনিয়র নেতারা।
প্রথম দিনে ৭ ডিসেম্বরের কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ৮ ডিসেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ৯ ডিসেম্বর স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ১০ ডিসেম্বর স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ১১ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ১৩ ডিসেম্বর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের চরিত্র ও শেখ হাসিনার চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বৃহস্পতিবার শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদে চরিত্র ও শেখ হাসিনার চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেই তারা বারবার পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা কথা বলার পরও একটি চূড়ান্ত মুহূর্তে তারা একত্রিত হয়েছে। তারা গণতন্ত্রকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন। ব্যাংক লুট করেছিলেন এরশাদ, আর চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।’
হাসিনার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে আদালতকে প্রভাবিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিজের গড়া আদালত ও ট্রাইব্যুনালেই এখন শেখ হাসিনার বিচার হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আদালতে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে দেশের আইনকে নিজের স্বার্থে প্রয়োগ করেছেন শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গুম-খুন এখন হচ্ছে না। রাজনৈতিক কোনো হস্তক্ষেপ নেই সরকারে। কোর্টকে প্রভাবিতও করার কোনো ঘটনা নেই, যা শেখ হাসিনা করেছিলেন। সব নিয়ন্ত্রণ ছিল হাসিনার। যারা নিজের দেশে নিজের সন্তান, ছাত্র, শ্রমিক হত্যা করে, তাদের বিচার হবেই। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। বিচারহীন থাকতে পারে না।’
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/148079