প্রস্তুত বিপিএল মঞ্চ, উকি দিচ্ছে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা

প্রস্তুত বিপিএল মঞ্চ, উকি দিচ্ছে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা

দুই দফা পিছিয়ে ক্রিকেটার নিলামের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হবে এবারের নিলাম। লম্বা সময় পর বিপিএলে ফিরছে নিলাম। এই নিলামের ঠিক পাঁচ দিন আগে নতুন আরো একটি দলের অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। ফলে পাঁচ দল নয়, বিপিএলে থাকছে ছয় দল। হুটহাট করে আসা এমন সিদ্ধান্তে বিপিএল নিয়েই তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। তবে সেসব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে বিসিবি। 

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সবকিছু ঠিকঠাক আছে। এখন শেষ মুহূর্তে আর কোনো পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এমনকি তেমন কোনো শঙ্কাও নেই।ফ্রাঞ্চাইজি বরাদ্দের নির্ধারিত সময় শেষে বিসিবি থেকে জানানো হয় পাঁচ দল নিয়ে আয়োজন করা হবে বিপিএল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনি বিসিবি। নিলামের পাঁচ দিন আগে আরো একটি দলের অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুরের পাশাপাশি এখন খেলবে নোয়াখালী। গতকাল নোয়াখালী ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার সব কার্যক্রম শেষ করেছে মালিক প্রতিষ্ঠান দেশ ট্রাভেলস। কেন হুট করে নির্ধারিত সময়ের বাইরে গিয়ে এভাবে দল বাড়ানো হলো? সেই ব্যাখ্যায় শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিককে বলেন, ‘কোয়াবের চাওয়ার কারণে দল বাড়ানো হয়েছে।’

ঢাকা লিগ নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে মিরপুর টেস্ট চলাকালে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে বৈঠকে বসে কোয়াব। সেখানেই বিপিএলে বাড়তি ক্রিকেটার সুযোগ দিতে দল বাড়ানোর অনুরোধ এসেছিল বলে জানান শাখাওয়াত। তাদের দাবি মেনে নিয়ে দল বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘বিপিএল তো আসলে করা হয় ক্রিকেটারদের জন্য। তাদের কথা চিন্তা করেই দল বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, বিপিএল নিয়ে বিসিবির এমন হুটহাট সিদ্ধান্ত বারবার প্রমাণ করছে কতটা অগোছাল হতে যাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির আগামী আসর। অগোছাল হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট গুছিয়ে নিতে আয়োজকদের হাতে থাকছে ‘খানিকটা’ সময়। তবে এর আগে ‘ভুল’ হওয়ার সম্ভাবনা আছে নিলামের মঞ্চে। নিলামের জন্য ইতোমধ্যে ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিয়েছে বিসিবির নির্বাচকরা। তবে ক্রিকেটাররা এখনো জানেন না কে কোন ক্যাটাগরিতে আছেন এবং কাকে কেন কোন ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। এমনকি নিলামে কোন ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য কত এবং কোন ক্যাটাগরি থেকে কতজন ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানো যাবে তা জানায়নি বিসিবি। সব মিলিয়ে মূল টুর্নামেন্টের আগেই খানিকটা জগাখিচুড়ি অবস্থা বিপিএল ঘিরে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে বিপিএলের এবারের আসর। অর্থাৎ, নিলাম হওয়ার দুই সপ্তাহের মাঝে মাঠে গড়াবে খেলা। এই অল্প সময়ের মধ্যে দলগুলো ক্রিকেটারদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কতটা ঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারবে এসব নিয়েও আছে শঙ্কা। অতীতে বিপিএলে ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বলে জানা গেছে, ক্রিকেটারদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে প্রয়োজন লম্বা সময়ের। এছাড়া দলগুলো এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি নিজেদের লোগো, জার্সি ডিজাইন, এমনকি কোচিং স্টাফের সদস্যও। ফলে এত তড়িঘড়ি করে বিপিএল আয়োজন হওয়ায় এই টুর্নামেন্ট ঘিরে শঙ্কা, অব্যবস্থাপনাÑকোনোটাই অমূলক নয়।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147887