যমুনার সুস্বাদু মাছের চাহিদা দেশব্যাপী দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি কমার সাথে সাথে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ছোট-বড় নানা ধরনের সুস্বাদু মাছ। যা রাজধানীসহ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মাছের প্রাচুর্য্যতায় জেলে পরিবারগুলোতে এসেছে স্বচ্ছলতা। সারারাত মাছ ধরে ভোরে জেলা শহরসহ বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করেন জেলেরা।
সিরাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি যমুনার রুই-কাতলা ১২শ’ টাকা, অন্যান্য মাছ প্রকারভেদে ১২শ’ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোট মাছের মধ্যে বাতাসী ১৬শ’, বাঁশপাতা ১৫-১৬শ’ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট বাৎসরিক মাছের ৭৮ হাজার ৮৯২.৭৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়।
এরমধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয় ৪০ হাজার ৭০১.৬৮ মেট্রিক টন এবং চাষকৃত মাছের উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার ১৯১.১ মেট্রিক টন। জেলায় স্থায়ী মৎস্যজীবীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৭৩ জন এবং মৌসুমী জেলের সংখ্যা প্রায় ৪-৫ হাজার। এসব জেলে পরিবারগুলোর আয়ের প্রধান উৎস্য হলো মাছ ধরা ও বিক্রি করা। যমুনার পানি কমার সাথে সাথে এসব জেলেরা যমুনা নদী থেকে বড় বড় মাছ ধরে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
জেলেরা জানান, রাত-দিন তারা মাছ ধরে বিক্রি করছেন। মাছ ধরতে বিভিন্ন জাল ব্যবহার করেন তারা। এখন যমুনায় রুই, কাতলা, আইড়, গুজি, বোয়াল, বাঘাইড়, পাঙ্গাসসহ অনেক মাছ ধরা পরছে। নদীর মাছের চাহিদা বেশি থাকায় মাছ বিক্রি করতে তাদের বেগ পেতে হয়না। ঘাটে আনার সাথে সাথে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে যায়। কেউ সারারাত আবার কেউ দিনভর মাছ ধরে বিক্রি করেন।
সিরাজগঞ্জ শহরের বড় বাজারে মাছ কিনতে আসা হোসেন আলী জানান, যমুনার মাছের স্বাদ আলাদা, তাই ১২শ’ টাকা কেজি কাতলা মাছ নিলাম। অপর ক্রেতা শাহিনুর বেগম বলেন, ঢাকায় থাকি এখানে আসলে যমুনার মাছ কিনি। আজকে বাঘাইড় মাছ নিলাম ১৬শ’ টাকা কেজি।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, প্রজননের সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছের পরিমাণ বহুলাংশে বেড়েছে। মা মাছ সংরক্ষণের কারণেই যমুনাতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। এতে মৎস্যজীবীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147870