মেজাজ হারিয়ে সতীর্থকে চড় মেরে লাল কার্ড!
স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠে কখনো কখনো খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি দেখা যায়। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা যায় সাধারণত দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। তাই বলে একই দলের খেলোয়াড়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি, শারীরিক আঘাত বিরল। সেটাই হয়ে গেল গতকাল এভারটন ও ম্যানইউর ম্যাচে। এভারটন মিডফিল্ডার ইদ্রিস গুয়ে সতীর্থ মাইকেল কিনকে চড় মেরেছেন, দেখেছেন লাল কার্ড।
ঘটনা ১৩ মিনিটে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথমার্ধে রেফারি টনি হ্যারিংটনের সামনেই কিনের মুখে চড় মারেন গুয়ে। রক্ষণভাগে দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে ম্যানইউ খেলোয়াড় ব্রুনো ফের্নান্দেস গোলের সুযোগ তৈরি করেন। এরপরই গুয়ে কিনের দিকে তেড়ে আসেন। এভারটন ডিফেন্ডারের ধাক্কা খেয়ে পাল্টা চোয়ালে চড় মারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়ার শাস্তি পান। তবুও থামেননি গুয়ে। কিনের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগেই জর্ডান পিকফোর্ড ও ইলিমান এনদিয়ায়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করেন।
প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ সেন্টার এক বিবৃতিতে জানায়, ভিএআরে গুয়ের সহিংস আচরণ ভিএআরে যাচাইয়ের পর লাল কার্ড দেওয়া হয়েছে। গুয়ে মাঠ ছাড়ার সময় স্কোর ছিল গোলশূন্য। কিন্তু ১০ জনের দল হওয়ার পর এভারটন ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। কিয়েরনান ডিউসবুরি হাল গোল করেন।
ম্যাচ শেষে পরে গুয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন, ‘আমার সতীর্থ মাইকেল কিনের কাছে আমি শুরুতেই ক্ষমা চাচ্ছি। আমার এমন কাজের জন্য আমি পুরোপুরি দায়ী। আমার সতীর্থ, স্টাফ, ভক্ত ও ক্লাবের কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে, কিন্তু কোনো কিছু দিয়ে এমন আচরণকে হালকা করা যাবে না। আমি নিশ্চিত করতে চাই এমন কিছু আর কখনো ঘটবে না।’
মাঠের মধ্যে সতীর্থদের তর্কাতর্কি বিরল হলেও নতুন নয়। সবশেষ ২০০৮ সালে ২৮ ডিসেম্বর ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে স্টোক সি টির রিকার্ড ফুলার সতীর্থ ও অধিনায়ক অ্যান্ডি গ্রিফিনকে চড় মারেন। তার আগে ২০০৫ সালে নিউক্যাসল সতীর্থ লি বোয়ার ও কিয়েরন ডায়ারের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ওই ম্যাচে এমন ঘটনায় দুজনই দেখেন লাল কার্ড। ১৯৯৫ সালে স্পার্তাক মস্কোর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের ডেভিড ব্যাটি ও গ্রায়ে লে সক্সের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147771