বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনাজপুরে হাবিপ্রবিতে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনাজপুরে হাবিপ্রবিতে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় সমাবর্তন। গতকাল শনিবার দুপুরে হাজারও গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হয় উৎসব ও  মিলন মেলায়।

সমাবর্তন উপলক্ষে বেলা দেড়টায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাবর্তন প্যান্ডেলের কাছে এসে শেষ হয় এবং সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষা উপদেষ্টা এবং মূল পর্বে সভাপতিত্ব করেন তিনি। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা।

এরপর স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিন কর্তৃক গ্র্যাজুয়েটগণকে শিক্ষা উপদেষ্টা ডিগ্রি প্রদান করেন। ডিগ্রি প্রদান শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ‘চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান। পরে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক ‘ভাইস- চ্যান্সেলর পদক’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সিআর আবরার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং যার নামে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চ শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেই ব্রিটিশ বিরোধী তেভাগা আন্দোলনের পথিকৃৎ হাজী মোহাম্মদ দানেশ’র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের দমন-পীড়নের অবসান ঘটিয়ে আমরা একটি মুক্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশে ফিরেছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিক্ষাঙ্গনকে মুক্ত করতে আমাদের শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ, প্রতিবাদ ও নেতৃত্ব জাতিকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে।

দেশের সীমিত সম্পদের মধ্যেও গবেষণা উন্নয়নে বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকার যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি শিক্ষকবৃন্দকে গবেষণা জোরদার করা, শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা এবং নতুন জ্ঞানের অনুসন্ধানে আরও অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, এবারের দ্বিতীয় সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি মিলিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেন।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147624