বগুড়ায় আমন ধান ঘরে তোলার ধুম

বগুড়ায় আমন ধান ঘরে তোলার ধুম

স্টাফ রিপোর্টার : নতুন আমন ধানের গন্ধে এখন ম-ম করছে কৃষকের উঠান। ধান কাটা-মাড়াইয়ে  ব্যস্ত এখন প্রতিটি কৃষক পরিবার। বগুড়ায় ইতিমধ্যে ২৬ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। জেলার স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে এখন নতুন ধানে ভরে গেছে। ধানের দামও ভালো বলছেন কৃষকরা।

কৃষক ও কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার অতিবৃষ্টির কারণে জেলার বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার ফলে জমির ধানে ক্ষতি হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে কাঙ্খিত বৃষ্টিতে ফলন ভালো হওয়ায় তা আমন উৎপাদনের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে হাট-বাজারগুলোতে ধানের যে দাম, তাতে তারা খুশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া সূত্র জানিয়েছে, বগুড়ায় এবার ১ লাখ সাড়ে ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর। ৫৯৯ হেক্টর জমির আমন বৃষ্টিতে আক্রান্ত হওয়ায় ফলন পাওয়া যাবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ হেক্টর জমির। চলতি বছরে আমনে উৎপাদন লক্ষ্য রয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ মেট্রিকটন চাল। প্রতি হেক্টরে এখন পর্যন্ত ফলন পাওয়া গেছে ৩ দশমিক ৩৬ মেট্রিকটন।

কৃষকরা জানান, আমন ধান লাগানোর পর সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। পানি সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়নি এবার। এছাড়াও আমনের ধানে মাজরা পোকা ও কারেন্ট পোকার (বাদামী গাছ ফড়িং) আক্রমণ ছিল তুলনামূলক কম।

গড়ে বিঘাপ্রতি ধান পাওয়া যাচ্ছে ১৪/১৫ মণ। খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায় প্রায় ৯ হাজার টাকা। বাজারে এসব ধান বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকা থেকে ১৩শ’ টাকা। কৃষকরা বলছেন, যারা মাঠে নিজেরা কাজ করতে পারেন তাদের খরচ আরও কম হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়ার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত বগুড়ায় ২৬ শতাংশ অর্থাৎ ৪৭ হাজার ২শ’ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৩ দশমিক ৩৬ মেট্রিকটন। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমন মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টিতে কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও মৌসুমের শেষের দিকের বৃষ্টিতেও বেশকিছু জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে আমন চাষাবাদ এবং মৌসুমের শেষের বৃষ্টিতে কিছু জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভাব ফেলবে না।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147579