মিস ইউনিভার্স বিতর্ক : ব্যবসায়িক স্বার্থে ফাতিমাকে জেতানোর অভিযোগ
বিনোদন ডেস্ক : এবারের ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট ওঠে মেক্সিকোর সুন্দরী ফাতিমা বশের মাথায়। কিন্তু ফাতিমার বিজয়ী হওয়ার খবরে তৈরি হলো এক বিতর্ক! লেবানিজ-ফরাসি সুরকার ও প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক ওমর হারফৌচ তাকে ‘ভুয়া বিজয়ী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন; শুধু তাই নয়, ব্যবসায়িক স্বার্থে ফাতিমাকে জেতানো হয়েছে- এমনটাই দাবি তার।
এর আগে ফাইনাল অনুষ্ঠানের দিন দুয়েক আগে কারচুপির অভিযোগ এনে এবারের আসরের বিচারকের প্যানেল থেকে সরে আসেন ওমর হারফৌচ। অভিযোগ তোলেন, মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম এই আসরে স্বজনপ্রীতি অর্থাৎ কিছু প্রতিযোগীর সঙ্গে অন্যান্য জুরি প্যানেলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
এরপর ফাতিমার জয়ের খবরের পর ওমর অভিযোগ তুললেন, প্রতিযোগিতার মালিক রাউল রোচা ব্যবসায়িক স্বার্থে আগে থেকেই ফাতিমাকে বিজয়ী হিসেবে ঠিক করে রেখেছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ওমর হারফৌচ দাবি করেন, ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগেই তিনি আমেরিকান গণমাধ্যম এইচবিও-কে জানিয়েছিলেন যে মিস মেক্সিকোই জিতবেন। এরপর ওমর উল্লেখ করেন, ‘মিস মেক্সিকো একজন ভুয়া বিজয়ী।
মিস ইউনিভার্সের মালিক রাউল রোচার সঙ্গে ফাতিমা বশের বাবার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।’ ওমর আরও অভিযোগ করেন, ‘এক সপ্তাহ আগে দুবাইতে রাউল রোচা এবং তার ছেলে আমাকে ফাতিমাকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ফাতিমার জেতাটা তাদের ব্যবসার জন্য ভালো হবে।’
অন্যদিকে এমন দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট রাউল রোচা। একটি ভিডিও বার্তায় এসব অভিযোগকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তিনি। তার দাবি, ওমর হারফৌচ পদত্যাগ করেননি বরং তাকে বিচারক প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো স্বচ্ছতা ছিল না এবং ওমর হারফৌচকে ভবিষ্যতে এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147555