বগুড়ার বাজারে সরবরাহ বাড়লেও কমছে না সবজির দাম 

বগুড়ার বাজারে সরবরাহ বাড়লেও কমছে না সবজির দাম 

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। সরবরাহও বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি। তারপরেও ১শ’ টাকার কমে মিলছে না বেশিরভাগ সবজি। 

বৃহস্পতিবার শহরের ফতেহ আলী বাজারসহ বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুনের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০, নতুন পাতাপেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০, কাঁচমরিচ ১৪০ থেকে ১৬০, শিম ১২০, ঝিংগা ৮০, শশা, করলা ও গাজর ১০০, টমাটো ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু মানভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা, নতুন আলুর কেজি ২৪০ থেকে ২৫০, পটল, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০, মূলা ৪০, দেশি আদা ১৬০, দেশি রসুন ১৪০ এবং শুকনা মরিচ ৩০০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।  

ফতেহ আলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বগুড়ার স্থানীয় হাট-
বাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়লেও এখনি দাম কমছে না, কারণ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ যথেষ্ট নয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সবজির সরবরাহ আরও বাড়বে, তখন দাম কমে আসবে। 

এদিকে শহরের ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি আটার প্যাকেট ৫৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯, দুই লিটার ৩৭৫ এবং পাঁচ লিটার তেল ৯১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির কেজি ১০০ টাকা। ডিমের হালি ৪২, দেশি মুরগির কেজি ৫২০, ব্রয়লার ১৬০ এবং ককরেল মুরগি ২৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। গরুর মাংস ৭২০/৭৫০ এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা।
 
এদিন আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ সাড়ে তিনশ’ টাকা এবং দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই মাছ ৩শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও চিংড়ির কেজি ৮শ’ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। আর এই বাজারে এদিন ইলিশ মাছের সরবরাহ কম লক্ষ্য করা গেছে। সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ইলিশ সাড়ে ৬শ’ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩শ’ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।   

 

 

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147270