নীলফামারীর ডোমারে মাল্টা চাষে সফল উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফাহিম
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: দেশে ফলের বাজারে জনসাধারণের কাছে বর্তমানে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় ফলের মধ্যে অন্যতম মাল্টা ফল। ভিটামিন সমৃদ্ধ এ ফল পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদন উপযোগী হলেও এখন সমতল ভূমিতেও উৎপাদনে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মাল্টা ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর, ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ মাল্টা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক ভালো রাখে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সহায়তা করে। তাই দিনদিন মাল্টা চাষে চাহিদা বেড়েই চলেছে।
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকো প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদুজ্জামান ফাহিম। তার বাগানে ঝুলছে থোকায় থোকায় মাল্টা, রয়েছে এক হাজারের অধিক গাছ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফাহিম ছোটবেলা থেকেই ছিলেন উদ্যোক্তা মনোভাপন্ন। এসএসসি পাস করার আগেই বাবাকে হারিয়ে সংসারের দায়িত্ব নিতে হয় তাকে। এইচএসসি শেষে তিন একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন ফাহিম। উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় সিলেট অঞ্চল থেকে বারী-১ জাতের চারা সংগ্রহ করে শুরু করেন মাল্টা চাষ।
বর্তমানে বাগানে প্রায় এক হাজারের অধিক গাছ রয়েছে। বাগান পরিচর্যা ও অন্যান্য কাজের জন্য কয়েকজন শ্রমিক। তারা জানান, ফাহিমের মাল্টা বাগানে সারাবছর কাজ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। মাল্টার স্বাদ ও গুণে মুগ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ফাহিমের বাগান থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে যায়।
ফাহিম জানান, প্রায় ২০একর জমিতে বিভিন্ন কৃষি প্রকল্প পরিচালনা করছেন তিনি, যার মধ্যে ৩ একর জমিতে মাল্টা চাষ। এবছর তৃতীয় বারের মতো ফলন মিলছে। আশা করছি প্রায় ১৬-১৮ টন মাল্টা উৎপাদন হবে। যার বর্তমান বাজারমূল্য হবে ৯-১০ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে পড়ার সময় স্যারের মাল্টা বাগান দেখে মাল্টা চাষে অনুপ্রেরণা পাই। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শে বাগান শুরু করি।
যারা নতুন করে মাল্টা চাষ করতে চান তাদের আমি বলবো, কৃষিতে আপনাদের স্বাগতম। ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ফাহিমের মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে কৃষি বিভাগের সহায়তায়। আমরা সার, কীটনাশক ও নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। গত বছরের চেয়ে এবছর ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি এবার তিনি আরও বেশি লাভবান হবেন।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147060