লালমনিরহাটে ঘুষের টাকা চাইতে গিয়ে মা-ছেলে মারপিটের শিকার হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি

লালমনিরহাটে ঘুষের টাকা চাইতে গিয়ে মা-ছেলে মারপিটের শিকার হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : টিসিবি কার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের আরিফ হোসেন নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের নামে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওই ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভুক্তভোগী মা ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ওই গ্রাম পুলিশ ও তার লোকজন।

এ ঘটনার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারটি এবিষয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করেছে। এরআগে গত বুধবার (১২ নভেম্বর) ওই সারপুকুর ইউনিয়নের মধুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা লোকমান আলীর ছেলে গ্রাম পুলিশ আরিফ হোসেন টিসিবি’র কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করেন। গত ১২ নভেম্বর সকালে একই এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী চার মাস আগে নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে গেলে অভিযুক্ত আরিফ হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পর ওই গ্রাম পুলিশ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে এলাকার ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠি ও দেশীও অস্ত্র নিয়ে সিরাজুলের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় সিরাজুল ইসলাম ও তার মা হামিদা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা।

পরে প্রতিবেশীরা এসে আহতদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহত সিরাজুলের মাথায় গভীর ক্ষত হওয়ায় তাকে অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে আহত সিরাজুলের বড় ভাই মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, হামলার কয়েকদিন পেরিয়ে গেছে। আসামিরা প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘুরছে এবং আমাদের পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও ঘটনার সুবিচার চাই’।

এ প্রসঙ্গে সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শুশিল চন্দ্র বলেন, গ্রাম পুলিশের টিসিবির টাকা নেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/147000