শরীয়তপুরে অটোরিকশার মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে নারীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন

শরীয়তপুরে অটোরিকশার মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে নারীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে নাসিমা বেগম (৩২) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ওই নারীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকার ডামুড্যা-শরীয়তপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসিমা বেগম ডামুড্যা উপজেলার দাইমিচর ভয়রা এলাকার আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঢাকায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাসিমা ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। আজ সকালে নাসিমা বেগম ঢাকার উদ্দেশ্যে অটোরিক্সায় করে ছেলেকে নিয়ে শরীয়তপুর সদরে যাচ্ছিলেন। এসময় কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে নাসিমার শরীরে থাকা ওড়না অটোরিকশার পেছনের মোটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ডামুড্যা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, আমি সকালে বাজারে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে দেখি, অটোরিকশার ভেতরে এক নারীর দেহ এবং পাশে রাস্তায় মাথা পড়ে আছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ডামুড্যা থানায় খবর দেই।

নিহতের স্বামী আসাদ হাওলাদার বলেন, ছেলের আকিকার জন্য গত পরশু সে ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। আজ সকালে আমার শ্বশুরবাড়ি মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটল। পরে একজনের ফোন পেয়ে এসে দেখি আমার স্ত্রী আর নেই। আমি এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।

ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে বোরকার ওড়না পেঁচিয়ে ওই নারীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146887