সামাজিক মর্যাদার সংকটে দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দরকার : বগুড়ায় উন্মুক্ত আলোচনা
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় টেকসই জীবনমান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে সরকারি মজিবর রহমান ভান্ডারী মহিলা কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে বাংলাদেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষার সংকট ও উত্তরণের পথ শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. বেল্লাল হোসেন।
আলোচনায় বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি বৃত্তি মূলক শিক্ষার সামাজিক সংকট, সম্ভাবনা ও উত্তরণের পথ বিষয়ে আলোচনা করেন । সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও কেন শিক্ষার্থী ও অবিভাবক গণবৃত্তিমূলক শিক্ষায় আগ্রহী হচ্ছেনা। কারণ মানুষের প্রথাগত ধারণা ও সামাজিক মর্যদার পরিবর্তন করতে না পারলে কারিগরি শিক্ষার প্রসার সম্ভবনা।
প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজী জুলফিকার আলী ও সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সাহিদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সরকারি মজিবর রহমান ভান্ডারী মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুস ছাবুর খন্দকার, সরকারি আজিজুল কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল মতিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রায়হান ইসলাম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক মো. মোস্তফা কামাল সরকার, ভূগোল বিভাগের মুহাম্মদ আলমগীর হাসান, দৈনিক করতোয়া সিনিয়র রির্পোটার রাহাত রিটু, বগুড়ার টিটিসি’র ইন্সট্রাক্টর রাশেদুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা ড. মনসুর আহমেদ। সরকারি মজিবর রহমান ভান্ডারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ত্বাইফ মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিপুল জনসংখ্যার দেশে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর সকল উন্নত দেশের মূল ভিত্তি কারিগরি শিক্ষা। আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। স্কুল থেকেই একজন শিক্ষার্থী পেশাগত মর্যদার ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং তার জন্য নির্ধারিত হবে নিদিষ্ট বৃত্তি মূলক শিক্ষা।
গবেষণা ছাড়াই প্রকল্প নেওয়া হয়, কোন খাতে কত মানুষের চাহিদা, কী ধরনের ট্রেড দেশে-বিদেশে প্রয়োজন তার মাঠ জরিপ নাই। ফলে অনেক ট্রেড শুরুতে চাহিদা হারায়। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তি মূলক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই শিক্ষা পরিচালিত হতে হবে রাজস্ব খাত থেকে। প্রশিক্ষণের অভাবে হাজার হাজার যুবক উচ্চ আয়ের আশায় বিদেশে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং খুবই সামান্য রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে।
বৃত্তি মূলক ও কারিগরি শিক্ষার পরিভাষার পরিবর্তন জরুরী। এটাহওয়া উচিত ইঞ্জিনিয়ারিং। কারণ আমাদের সমাজের মানুষ ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দ কে বেশি মর্যাদা দেয়। সেক্ষেত্রে শিক্ষার স্তর হওয়া উচিত ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইমারি, সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি। এভাবে ঢেলে সাজালে সামাজিক মর্যাদার জায়গা বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ এ শিক্ষায় আগ্রহী হবে।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146695