গুরুদাসপুরে ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি : শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি

গুরুদাসপুরে ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি : শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করা, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং মনোযোগ ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে সারাদেশের ১৫০টি উপজেলায় একযোগে শুরু হয়েছে ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি। 

আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্ক্যালপেল্লি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদ আফরোজসহ আরো অনেকে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিকর খাবার পাবে। খাবার তালিকায় থাকছেÑফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ। এতে শিক্ষার্থীদের দৈনিক প্রয়োজনীয় মোট এনার্জির প্রায় ২৬ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ শতাংশ এবং ফ্যাটের ২১ শতাংশ পূরণ হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ চলবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মাহফুজ হোসাইন ও অনাবিল হাসান বলেন, আমরা আজকে খাবার পেয়ে অনেক খুশি। এখন থেকে নিয়মিত খাবার পাব। যারা আমাদের জন্য এই ব্যবস্থা করেছেন, তাদের প্রতি আমরা ধন্যবাদ জানাই।

উদ্বোধন শেষে উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিশুরা যেন কখনো স্কুলে ক্ষুধার্ত অবস্থায় না থাকে, নিয়মিত উপস্থিত থাকে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে পারেÑএ লক্ষ্যেই সরকারের বড় উদ্যোগগুলোর মধ্যে ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি অন্যতম। একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি অত্যন্ত জরুরি। সেই প্রয়োজন থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৫০টি বিদ্যালয়কে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই অন্যান্য বিদ্যালয়েও বিস্তৃত করা হবে। 

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনার সন্তানদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠান। প্রতিটি শিশুর মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশে শিক্ষা না পেলে তা বিকশিত হয় না। দেশের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাÑএটাই শিক্ষার মূল লক্ষ্য।

 

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146592