প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতলো বাংলাদেশ

প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতলো বাংলাদেশ

তৃতীয় দিন শেষে প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর: আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০.২ ওভারে ২৫৪/১০ (ইয়াং ০*; কারমাইকেল ৫, স্টার্লিং ৪৩, টেক্টর ১৮, ক্যাম্ফার ৫, টাকার ৯, হামফ্রিজ ১৬, বালবার্নি ৩৮, ম্যকব্রিন ৫২, জর্ডান ৩৬, ম্যাকার্থি ২৫)

ফল: বাংলাদেশ ইনিংসে ও ৪৭ রানে জয়ী, ম্যাচসেরা: মাহমুদুল হাসান জয়

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৪১ ওভারে ৫৮৭/৮ ডি., লিড ৩০১ (নাহিদ ৪*, হাসান ১৩*; সাদমান ৮০, জয় ১৭১, মুমিনুল ৮২, মুশফিক ২৩, লিটন ৬০, শান্ত ১০০, মিরাজ ১৭, মুরাদ ১৬)

আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৯২.২ ওভারে ২৮৬/১০ (ইয়াং ৬*; বালবার্নি ০, স্টার্লিং ৬০, টেক্টর ১, কারমাইকেল ৫৯, ক্যাম্ফার ৪৪, টাকার ৪১, ম্যাকব্রিন ৫, জর্ডান ৩০, হামফ্রিজ ০, ম্যাকার্থি ৩১)

সিলেটে প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডকে এক ইনিংস ও ৪৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে দিয়েছে ২৫৪ রানে।

৩০১ রানে এগিয়ে থেকে ৫৮৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। তার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আইরিশদের পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে ছেড়েছে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিনেই ৮৫ রানে তুলে নেয় দলটির ৫ উইকেট। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে সফরকারীদের দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নামলেও হতাশ করেছে সপ্তম উইকেট জুটি। এই সেশনে নিতে পারে দুটি উইকেট। সকালের দিকে হামফ্রিজকে আউটের পর ম্যাকব্রিন-বালবার্নি মিলে যোগ করেন ৬৬ রান। ম্যাকব্রিন প্রান্ত আগলে মূল প্রতিরোধটা গড়েছেন। ফিফটিও তুলে নেন তিনি। লাঞ্চের আগে বালবার্নি (৩৮) ও লাঞ্চের পর শেষ পর্যন্ত ম্যাকব্রিনকে (৫২) ফেরানো গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে ব্যারি ম্যাকর্থি ও জর্ডান নিল মিলে ঝড়ো গতিতে নবম উইকেটে রান তুলতে থাকলে আবারও ইনিংস ব্যবধানে জয়ের আশা শঙ্কার মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানের জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান মুরাদ। আউট করেন জর্ডানকে (৩৬)। তার পর ব্যারি ম্যাকর্থিকে (২৫) তাইজুল তুলে নিলে শেষ হয় আইরিশদের প্রতিরোধ।         

৬০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন অভিষিক্ত হাসান মুরাদ। ৮৪ রানে তিনটি নেন তাইজুল ইসলাম। ৪০ রানে দুটি নিয়েছেন নাহিদ রানা। 

মুরাদের ঘূর্ণিতে ভাঙলো ৫৪ রানের নবম উইকেট জুটি

ম্যাকব্রিনকে ফেরানোর পরও নবম উইকেটে জুটি গড়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টায় ছিলেন ম্যাকার্থি ও জর্ডান নিল। ঝড়ো গতিতে রান তুলছিলেন তারা। ৫৪ রানের সেই জুটি ভেঙেছেন হাসান মুরাদ। জর্ডান নিল মেরে খেলতে গিয়ে সাদমানকে ক্যাচ দিয়েছেন। তাতে ৩৬ রানে থেমেছেন তিনি। আইরিশ দল নবম উইকেট হারায় ২৫২ রানে। 

লাঞ্চ থেকে ফিরেই হাফসেঞ্চুরিয়ান ম্যাকব্রিনকে ফেরালেন রানা

লাঞ্চের আগে বাংলাদেশকে হতাশ করে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। লাঞ্চ থেকে ফিরে সেশনের দ্বিতীয় বলেই তাকে হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানান নাহিদ রানা। তাতে ৫২ রানে থেমেছেন ম্যাকব্রিন। আইরিশ দল অষ্টম উইকেট হারায় ১৯৮ রানে। 

হতাশায় প্রথম সেশন শেষ বাংলাদেশের

ইনিংস ব্যবধানে জয়ের আশায় চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। শুরুটা সেই লক্ষ্যে সফলও হয়েছে। তাইজুল তুলে নেন ষষ্ঠ উইকেট। কিন্তু সপ্তম উইকেট অ্যান্ডি বালবার্নি ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন মিলে হতাশ করেছেন সেশনের বেশিরভাগ সময়। ৬৬ রানের জুটিতে ব্যবধান কমিয়েছেন তারা। হাসান মুরাদ লাঞ্চের আগে বালবার্নিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেও প্রান্ত আগলে রয়েছেন ম্যাকব্রিন। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। তার প্রতিরোধ এখনও হতাশ করে চলছে স্বাগতিকদের। চতুর্থ দিনে লাঞ্চে যাওয়ার আগে আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৯৮। ম্যাকব্রিন অপরাজিত ৫২ রানে। সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত অভিষিক্ত অলরাউন্ডার জর্ডান নিল।

প্রথম সেশনে ৩১ ওভারে বাংলাদেশ দুটি উইকেট নিতে পেরেছে। আয়ারল্যান্ড যোগ করেছে ১১২ রান। সফরকারীরা এখনও পিছিয়ে ১০৩ রানে। বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে এই রান করতে হবে তাদের। হাতে আছে আর তিনটি উইকেট।      

সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙলেন মুরাদ

সকালের শুরুতে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে হতাশ করে চলছিল আয়ারল্যান্ডের সপ্তম উইকেট জুটি। অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন মিলে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। লাঞ্চের আগেই ৬৬ রানের এই জুটি ভেঙেছেন হাসান মুরাদ। অধিনায়ক বালবার্নিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। আম্পায়ার সরাসরি আঙুলে তুলে দিলে আইরিশ অধিনায়ক রিভিউ নিয়েছিলেন। তাতেও রক্ষা পাননি বালবার্নি। তাকে ফিরতে হয় ৩৮ রানে।  

তাইজুলের আঘাতের পর সপ্তম উইকেটে আইরিশদের প্রতিরোধ

ইনিংস ব্যবধানে জিততে দিনের শুরুর দিকেই আইরিশদের ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ম্যাথু হামফ্রিজকে (১৬) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তার পর অবশ্য সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে খেলছেন অধিনায়ক বালবার্নি ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। এর মধ্যে ম্যাকব্রিন কয়েক দফা রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন।  

ইনিংস ব্যবধানে জয়ের আশায় চতুর্থ দিন শুরু বাংলাদেশের

৩০১ রানে এগিয়ে থেকে ৫৮৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। তার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আইরিশদের পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে ছেড়েছে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিনেই ৮৫ রানে তুলে নিয়েছে দলটির ৫ উইকেট। বাংলাদেশ সিলেটে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের অপেক্ষায় চতুর্থ দিন খেলতে নেছে। 

চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় বলেই সাফল্য পেয়েছিলেন তাইজুল। এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়ে হামফ্রিজকে আউট দেন আম্পায়ার। পরে অবশ্য আইরিশ ব্যাটার রিভিউতে রক্ষা পেয়েছেন।

গতকাল বাংলাদেশের বোলিংয়ে খেই হারায় দলটির ইনিংস। দলের ১৪ রানে কেড কারমাইকেলকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন নাহিদ রানা। তার পর দ্বিতীয় উইকেটে পল স্টার্লিং-হ্যারি টেক্টরের ব্যাটে ভালো প্রতিরোধ গড়ে তারা। যোগ করেন ৪৭ রান। এই জুটি ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ৬১ রানে দুর্দান্ত এক থ্রোতে স্টার্লিংকে ৪৩ রানে রানআউট করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার পর ধস নামে ইনিংসে। দলের ৬৮ রানে দ্রুত সময়ে টেক্টরের (১৮) উইকেট তুলে তাদের আরও বিপদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। তার পর শেষ বিকালে দ্রুত সময়ে কার্টিস ক্যাম্ফার ও লরকান টাকারের উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত হাসান মুরাদ। তৃতীয় দিন শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৮৬ রান। 

ক্রিজে আছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন ও ম্যাথু হামফ্রিজ।

 গতকাল বামহাতি স্পিনার মুরাদ ৮ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। একটি করে নিয়েছেন নাহিদ রানা ও তাইজুল ইসলাম।  

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146488