প্রেমিকাকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে; অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বরিশালের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত যুবক ইমন হোসেন (২২) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জলশি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় ইমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, নবম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীর (১৫) সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ইমন। পরে ২০২৪ সালের ১১ মার্চ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। নিখোঁজের ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় পটুয়াখালী শহর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এ সময় ইমনসহ পতিতালয়ের দুই নারীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই নারী স্বীকার করেন, ইমন প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে এনে ৩০ হাজার টাকায় তাদের কাছে বিক্রি করেছে।
এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ইমন ও দুই নারীকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার শুনানিতে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ইমন হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন। অপর আসামি তানিয়া আক্তারকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেন আদালত।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146182