আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা সামনে আসতে পারবে না
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেছেন, পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজির মাধ্যমে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে। ওই অর্থ দিয়ে তারা ভারী অস্ত্র ক্রয় করছে, যা পরবর্তীতে ব্যবহৃত হচ্ছে সেই সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেই, যাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিওনের উদ্যোগে আয়োজিত খাগড়াছড়ি জেলা শহরে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এখন আর আগের মতো সক্রিয় থাকতে পারছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তারা সামনে আসতে পারবে না। সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে তাদের আস্তানা ধ্বংস করা হচ্ছে, ফলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাচ্ছে বা সিভিল ড্রেসে চলাফেরা করছে।
তিনি আরও বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ঘাঁটি ছিল পানছড়ির লৌংগা যুবনেশ্বর পাড়ায়, যা এখন সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনার টাকা যদি আপনার কাছেই থাকে, তা সমাজের উন্নয়নে কাজে লাগবে। কিন্তু যদি সন্ত্রাসীদের দেন, তাহলে তারা সেই টাকায় অস্ত্র কিনে আপনাদের দিকেই তাক করবে।
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, সেনাবাহিনী দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করবে না। সরকার যতদিন নির্দেশ দেবে, ততদিন সেনাবাহিনী পাহাড়ে অবস্থান করবে। পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী থাকতে দেওয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এএসইউ ডেড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুদাসার মনুওয়ার রাজগীর, সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ইউনুস, কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল এবং ঠিকাদার শাহেদুল হোসেন সুমনসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146163