ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সালাম খান হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ইকবাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলা আরও তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল ইসলাম এই রায় দেন।
আদালত ও মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আবিরপাড়ার বাসিন্দা সালাম খানকে কৌশলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোল চত্ত্বর এলাকা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার মাথায় ভারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ঘটনাস্থলের পাশে একটি রাইস মিলের মাঠের পশ্চিম পাশে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনার পরের দিন নিহতের ছেলে মো. ইমরান খান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পর পর জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। এর একবছর পর মামলাটি সিআইডিতে অধিকতর তদন্তের জন্যে হস্তান্তর করা হয়। পরে তদন্ত করে সিআইডি ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আসামি ৬ জনের মধ্যে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি দীর্ঘ পর্যালোচনা করে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার মামলার রায় দেন।
রায়ে মামলার প্রধান আসামি ইকবাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে মামলার প্রধান আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর তিন আসামি জাহানারা বেগম, মো. বাছির মিয়া ও নজরুল মিয়ার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফখর উদ্দিন আহম্মদ খান জানান, আসামি ইকবালের কাছে ৫ লাখ টাকা পেতেন সালাম খান। এই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। পরে আসামি ইকবাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। আদালত কেবল আসামি ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146141