রাজনৈতিক প্রভাব বা অন্য কোনো চাপে যেন কেউ দুর্নীতির পথে না হাঁটে : দুদক কমিশনার (তদন্ত) 

রাজনৈতিক প্রভাব বা অন্য কোনো চাপে যেন কেউ দুর্নীতির পথে না হাঁটে : দুদক কমিশনার (তদন্ত) 

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা গড়বে, আগামীর শুদ্ধতা- স্লোগানে দিনাজপুর শিশু একাডেমির মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের, নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে আপনাদের উপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে সচেতন থাকবেন। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘুষ দুর্নীতি অবৈধভাবে অর্থ-সম্পদ অর্জন অভিযোগ প্রমাণিত হলে, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দুর্নীতি নির্মূলের উদ্যোগ নিজেদের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। ব্যক্তিগত লোভ-লালসা পরিহার করতে হবে, অন্যকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দুর্নীতি বিরোধী চেতনা গড়ে তুলতে শিক্ষকগণ সপ্তাহে অন্তত একদিন শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা, শুদ্ধাচার এবং ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ বলতে শিক্ষা দিন।

স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সরকারি সেবা প্রাপ্তি গণশুনানির মূললক্ষ্য। রাজনৈতিক প্রভাব বা অন্য কোনো চাপে পড়ে যেন কেউ দুর্নীতির পথে না হাঁটে- এই আহ্বান জানান তিনি। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- দুর্নীতি দমশন কমিশনের মহা-পরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, দুদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. নুরুল হুদা ও জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আতাউর রহমান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিয়াজ উদ্দিন, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. নুর আলমসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।

গণশুনানিতে সরকারি বেসরকারি ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৭৯টি অভিযোগ জমা পরেছিল। অভিযোগগুলোর মধ্যে শতাধিক অভিযোগ শুনানি অনুষ্ঠিত করা হয়। যার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বেশকিছু অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদক কার্যালয়ে গ্রহণ করেছেন।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/146084