বগুড়ার সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের ছনপাতা বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়

বগুড়ার সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের ছনপাতা বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ছনপাতা বা কাশফুল বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এক সময়ের অবহেলায় নষ্ট হওয়া ছনপাতা বিক্রি করে  লাভবান হচ্ছেন কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা। বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪ টি ইউনিয়নের সম্পূর্ণ এবং ৪ টি ইউনিয়নের আংশিক যমুনা নদীগর্ভে অবস্থিত।

তাই এ উপজেলায় বিশালাকার চরাভূমি রয়েছে। এসব চরাভূমিতে প্রাকৃতিক নিয়মেই ছন গাছ বা কাঁশফুলের গাছ জন্মে প্রচুর পরিমাণে। যা গত কয়েকদিন আগেও সাদা শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্যে পর্যটকদের আকর্ষণ করতো। গত কয়েকদিন আগে এসব কাশফুল ঝরে গেছে। কাশফুলের গাছগুলোর উপরিভাগ কর্তন করে এখন কৃষকেরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।

যা ট্রাকে করে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া গাছের নীচের অংশ জ্বালানি কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। জানা গেছে, এসব ছনগাছ বা কাশফুলের গাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পানের বরজ তৈরির করতে ব্যবহার করা হয়। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা জমির মালিকের কাছ থেকে একটি সম্পূর্ণ চরের ছনগাছ নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে এক হাজার আটি ছনগাছ ১২ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন।

ছনগাছ ব্যবসায়ী উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া গ্রামের মইর প্রামানিকের ছেলে বাবলু প্রামানিক বলেন, জমির মালিকের কাছ থেকে একটি সম্পূর্ণ চরের জমি আমরা নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে কিনে নেয়। এরপর এগুলো কর্তন করে আঁটি বাধি। এসব কাজে প্রচুর পরিমানে শ্রমিক খরচ হয়। এসব ছনগাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পানের বরজে সরবরাহ করা হয়।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আতিকুর রহমান বলেন, ছনগাছ প্রাকৃতিক ভাবেই এ উপজেলার চরাঞ্চলে যুগযুগ ধরে প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। এসব কাঁচা ছনগাছ আমাদের উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশু ও মহিষের বাথানেরও প্রধান খাবারের উৎস। চরের জমিতে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ছনগাছে ফোঁটা কাঁশফুল গত কয়েকদিন আগেও সারিয়াকান্দিতে পর্যটকরা দেখতে ভিড় করছিল। এখন তা চরের মানুষের আয়ের  যোগান দিচ্ছে।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145870