দিনাজপুরের হিলিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

দিনাজপুরের হিলিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি ও আশপাশের এলাকায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আগাম জাতের আলু চাষিরা। আমন ধান কাটার পর ফাঁকা হয়ে যাওয়া জমিতে দাপটের সাথে শুরু হয়েছে অ্যাস্টেরিক, কার্ডিনাল ও স্বল্পমেয়াদি শাটাল জাতের আলুর বীজ রোপণ। মৌসুমের শুরুতে আলুর চড়া দামের প্রত্যাশায় কৃষকদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেলেও সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের বাড়তি দাম তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

খট্টামাধবপাড়া, ইসবপুর, বোয়ালদাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা মাঠজুড়ে হাল চাষ, আগাছা পরিষ্কার, জমিতে গোবর ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ, বেড তৈরি এবং হিমাগার থেকে আনা বীজ রোপণে ব্যস্ত। শীতের আগমনী বার্তায় কৃষিজমিতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।

খট্টামাধবপাড়ার এক জন কৃষক জানান, আগাম আমন ধান কাটার পরপরই আলুর জমি প্রস্তুত শুরু করেছি। হিমাগার থেকে সংরক্ষিত বীজ আনা, হাল চাষ, সার প্রয়োগ, সব মিলিয়ে মাঠজুড়ে ব্যস্ততা এখন চরমে। তবে খরচ ভয়ানক বেড়ে গেছে। এক বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকার কমে আর আলু তোলা যায় না।

তিনি আরও বলেন, আগাম আলুর উৎপাদন সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করা যায়। কিন্তু বাজারে আলুর দাম এখনো কম। যদি ভারতসহ বিদেশে রপ্তানির সুযোগ থাকতো তাহলে কৃষকদের হাত ভালোমত শক্ত হতো। স্থানীয় শ্রমিক তাহের আলী বলেন, আগাম আলুর সময়ে কাজ থাকে বেশি। রোজগারও ভালো। এই আয় দিয়ে এখন পরিবার নিয়ে ভালোভাবেই চলতে পারছি।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, কৃষকদের আগাম আলু চাষে সব ধরনের কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূল রয়েছে। আশা করছি ফলনও ভালো হবে, দামও ভালো পাবেন চাষিরা। তিনি আরো জানান, চলতি বছরে হাকিমপুর উপজেলায় ১ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145850