১৬ ডিসেম্বর জাতির মুক্তি হয়নি, জাতির মুক্তি হয়েছিল ৭ নভেম্বর : রুহুল কবির রিজভী

১৬ ডিসেম্বর জাতির মুক্তি হয়নি, জাতির মুক্তি হয়েছিল ৭ নভেম্বর : রুহুল কবির রিজভী

ঢাবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু জাতি হিসাবে প্রকৃত মুক্তি পেয়েছি ৭ নভেম্বর ১৯৭৫-এ। ১৬ ডিসেম্বরের স্বাধীনতায় আওয়ামী লীগের মুক্তি হয়েছে, আর ৭ নভেম্বরে মুক্তি হয়েছে জাতির।”

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “স্বাধীনতার পর যারা সরকারে এলেন তারা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে জাতি বলে মনে করেননি। তারা অন্য কোনো রাজনৈতিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। রাজনৈতিক দলগুলো বিলুপ্ত করা হলো, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হলো, সমগ্র দেশকে এক অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হলো।”

তিনি আরও বলেন, “৭৫–এর ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এলো, তারাও ছিলেন একই রাজনীতির ধারাবাহিকতায়। সেই অচলাবস্থা ও সংকটের মধ্য দিয়ে জনগণ আবার নতুন একটি পথের সন্ধান খুঁজতে থাকে। ৭ নভেম্বর সেই পথপ্রদর্শক ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ৭১-এর মতো ৭ নভেম্বরেও তিনি জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।”

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “আমাদের আত্মপরিচয় নিয়ে গভীর সংকট ছিল। ১৯৭২ সালে ক্ষমতাসীনরা সেই সংকট আরও গভীর করেছেন। তারা যে জাতীয়তার কথা বলেন সেটি ছিল বিতর্কিত, আঞ্চলিক পরিসরে সীমাবদ্ধ। সেখানে স্বতন্ত্র সত্তা, পতাকার প্রতিনিধিত্ব ছিল না। শহীদ জিয়া সেই সংকট নিরসন করে সামনে আনলেন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’।”

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তারা নিজেরা কথা বলার অধিকার রাখত কিন্তু অন্য মতকে সহ্য করত না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হলো, সংবাদপত্র ও প্রকাশনা খাতকে দমনে রাখা হলো। এরপরই শুরু হয় পাল্টা–পাল্টি চক্রান্ত ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145709