এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ পুতিনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরুর নির্দেশের পর এ পদক্ষেপ নিলেন পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি এমন পদক্ষেপ বিশ্ব রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা বাড়াবে বলে বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। রাশিয়ার নেতা বুধবার তার নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধ চুক্তির (সিটিবিটি) কোনো স্বাক্ষরকারী দেশ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়, তাহলে ‘রাশিয়া পারস্পরিক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে’। পুতিন বলেন, এই বিষয়ে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশেষ পরিষেবা এবং সংশ্লিষ্ট বেসামরিক সংস্থাগুলোকে এই বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার নির্দেশ দিচ্ছি, নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক এটি বিশ্লেষণ করানো হোক এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সম্ভাব্য প্রথম পদক্ষেপের উপর সমন্বিত প্রস্তাব জমা দেওয়া হোক।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে মস্কো আর পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের হতাশা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রাগারের অধিকারী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে থাকা ওয়ারহেডের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিএসিএনপি’র অনুমান অনুসারে, মস্কোর বর্তমানে ৫ হাজার ৪৫৯টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ৬০০টি সক্রিয়ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। সিএসিএনপি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রায় ৫ হাজার ৫৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ সক্রিয়।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145584