তাবিজ ঝোলানো কি জায়েজ?
প্রশ্ন: তাবিজ ঝোলানো কি শিরক?
উত্তর: জাগতিক চিকিৎসা ও ওষুধপত্রের বাইরে আল্লাহর শক্তি ছাড়া অন্য কোনো অদৃশ্য বা অলৌকিক শক্তিকে ক্ষমতাবান মনে করা, সুস্থতার কারণ মনে করা, আল্লাহর সমান শক্তিমান মনে করা শিরক। তাবিজকে সত্তাগত শক্তিতে প্রভাব সৃষ্টিকারী হিসেবে বিশ্বাস করা, শিরকি শব্দ, কুফরি কালাম বা অনর্থক লেখা সম্বলিত তাবিজ ব্যবহার করা শিরক। এ রকম তাবিজ ঝোলানো সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তাবিজ ঝোলাল, সে শিরক করল। (মুসনাদে আহমদ)
ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন নবি করিম (সা.) এক ব্যক্তির হাতে চুড়ি দেখে বললেন, এটা কি? তিনি বললেন, এটা এক প্রকার হাড়। রাসুল (সা.) বললেন, এটা খুলে ফেল, এটা শুধু তোমার দুর্বলতাই বাড়াবে। যদি এটা বাঁধা অবস্থায় তোমার মৃত্যু হয়, তবে কখনো তুমি সফল হবে না। (ইবনে মাজা)
তবে কেউ যদি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, আয়াত, সুরা, জিকির, সঠিক অর্থবহ কোনো দোয়া লিখে শরীরে ধারণ করে, তাহলে তা শিরক হবে না, নাজায়েজও হবে না।
শিরক আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ। কোরআনে শিরকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জুলুম বলা হয়েছে এবং বিভিন্ন আয়াতে বারবার শিরক থেকে বেঁচে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরক ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরিক করা ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরিক করে সে এক মহাপাপ করে। (সুরা নিসা: ৪৮)
শিরক যারা করবে, তাদের জন্য জান্নাত হারাম ঘোষণা করে আল্লাহ বলেন, আর যে আল্লাহর সাথে শরিক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (সুরা মায়েদা: ৭২)
তাই আমাদের কাজে বা বিশ্বাসে কোনোভাবেই যেন শিরক স্থান না পায় এ ব্যাপারে খুব সাবধান থাকা কর্তব্য।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145523