বগুড়ার আদমদীঘিতে শশ্মানে ব্যবহৃত জলাশয় দখলের অভিযোগ 

বগুড়ার আদমদীঘিতে শশ্মানে ব্যবহৃত জলাশয় দখলের অভিযোগ 

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘি উপজেলার পানলায় অবস্থিত জমিদারি আমলের শ্মশানের ব্যবহৃত জলাশয় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আবারও দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলার পানলা মৌজায় জমিদারি আমল থেকে পানলা, কুসুম্বী, সুদিন গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য কালি মন্দির ও চিতা স্থাপন করে সেখানে দাহ ও তাদের ধর্মীয় কার্যক্রমের জন্য একটি জলাশয় রয়েছে। ২০১৬ সালে জনৈক জিল্লুর রহমান পুকুরের দক্ষিণে অর্ধাংশ জলাশয় তার নিজের কবলা দাবি করে তা জবর দখল করেন। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে জনৈক জিল্লুর রহমানের বিবাদ সৃষ্টি হয়।

এদিকে জিল্লুর রহমান একই সালে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও শ্মশান কমিটির সভাপতি সনাতন চন্দ্র প্রামানিকসহ ছয়জনকে বিবাদি করে বগুড়া জেলা জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। আদালত ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। এরপরও উক্ত জিল্লুর রহমান আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে জলাশয়ের অর্ধেক অংশ দখল অব্যাহত রাখেন। বাধ্য হয়ে বিবাদীদের পক্ষে বকুল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ নালিশী সম্পত্তি কেউ নামজারি করে থাকলে তার সমস্ত নামজারি বাতিল এবং ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বগুড়া জেলা কমিশনারকে আদেশ প্রদান করেন।

এদিকে আদালতের সকল আদেশকে উপেক্ষা করে জলাশয়টি দখল মুক্ত না হওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে জলাশয় দখলমুক্ত করার দাবি জানান।  অন্যদিকে জিল্লুর রহমান বিবাদমান ওই পুকুরের অংশটি তার নিজের বলে দাবি করেন। 

 

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145413