বগুড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা 

বগুড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা 

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলায় ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া গেল মাসে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী মারা গেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় সরকারি দু’টি হাসপাতাল এবং দু’টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ টিএমএসএস হাসপাতালে বর্তমানে ৪০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ১৯ জন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঁচজন, টিএমএসএস হাসপাতালে ১২ জন, শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং শিবগঞ্জে একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গেল অক্টোবরে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হয়ে ১৮৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন একজন। অক্টোবরে শজিমেক হাসপাতালে ১০৭, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৯ জন, টিএমএসএস হাসপাতালে ৪৮ জন, শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন এবং শিবগঞ্জে চারজন রোগী ভর্তি ছিলেন। এছাড়া গত ২০ অক্টোবর বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ৪০ বছর বয়সী নার্গিস নামে এক নারী মারা গেছেন। ওই নারীর বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলায়। তবে গত মাসের তুলনায় এই মাসের শুরু থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মজিদুল ইসলাম জানান, ওই হাসপাতালে অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে ৬৪ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৪৯ জন, নারী ১৩ এবং শিশু দু’জন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যাদের সবাই পুরুষ এবং এদের মধ্যে একজনের বয়স ২৭ বছর অন্যরা চল্লিশোর্ধ্ব। তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগী মারা যায়নি। সবাই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া ওই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়া শহরের রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়ি কালিতলা, দত্তবাড়ি ও কাটনারপাড়া এলাকায়।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মঞ্জুরে মোরশেদ জানান, গত সাতদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন রোগী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভর্তি ছিল ১৯ জন। নতুন আক্রান্ত রোগী প্রতিদিনই আসছে। বগুড়া ছাড়াও আশেপাশের জেলা যেমন-জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীগুলোকে ওই হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ওই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য ইতোমধ্যে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডা. মোরশেদ বলেন, গত ২০ অক্টোবর ওই হাসপাতালে নার্গিস নামে পাবনার বেড়া উপজেলার এক রোগী মারা গেছেন।

বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. খুরশীদ আলম জানান, গত মাসের তুলনায় এই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলা সমন্বয় সভা ও পৌরসভা সমন্বয় সভায় ডেঙ্গু সচেতনতামূলক বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। পৌর প্রশাসন শহরে মশকনিধনসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডেঙ্গু কিট ও স্যালাইন মজুদ রয়েছে। এছাড়া প্রতি উপজেলায় আলাদা ডেঙ্গু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145412