সিইসির কাছে ৩১ দফা দাবি পেশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

সিইসির কাছে ৩১ দফা দাবি পেশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

ভোটে ব্যয় কমানো, না ভোটসহ ৩১ দফা দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ৩১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

তাদের দাবিগুলো হলো, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের কার্যকরি দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকা। ভোট কেন্দ্রে কেবলমাত্র সিল দেওয়ার গোপন কক্ষ ব্যতীত সারা দেশে সমগ্র কেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবস্থা রাখা এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে বড় স্ক্রীনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিদের প্রদর্শন নিশ্চিত করা।ভোট কেন্দ্রে গণমাধ্যমের প্রবেশ নিশ্চিত করা। কোনো সরকারিজীবী চাকুরি ছাড়ার পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার আইন প্রণয়ন। রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ; মনোনয়ন ফরম ৫ হাজার টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন ফরমের জন্য ১০ হাজার টাকার বেশি গ্রহণ করা যাবে না। সিডি/ভোটার তালিকা ক্রয়ের জন্য কোনো ফি ধার্য করা যাবে না।

পোস্টার বর্তমান আইন অনুযায়ী; নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীদের সমন্বিত যৌথ প্রচার সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে সমান প্রচারের ব্যবস্থা। সামাজিক ও এআই কনটেন্টে অপতৎপরতা ও মিথ্যা প্রচারের নিয়ন্ত্রণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় বৃদ্ধি না করা। মনোনয়ন ফরমের সাথে হলফনামা জমা। নির্বাচন শেষে তিন মাসের মধ্যে হলফনামা যাচাই-বাছাই ও অসামঞ্জস্যে আইনি ব্যবস্থা। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কমিশন থেকে নিয়োগ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বার্ষিক আয়-ব্যয় হিসাব কমিশন ও দুদকে জমা।

রাজনৈতিক দল বাহ্যিক মনোনয়ন কেবল পাঁচ শতাংশ দিতে পারবে; মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তি থাকলে পদত্যাগ বাধ্যতামূলক। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচনী এলাকার ভোটারের আস্থা হারালে রিকল বিধান। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তিন মাস অন্তর জবাবদিহী ব্যবস্থা। সংসদ সদস্যরা উন্নয়ন বরাদ্দ বা প্রকল্পে অংশগ্রহণে অলাভজনক বিধান। তিনশত আসনে না ভোটের ব্যবস্থা। সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি বন্ধ; মন্ত্রীদের একাধিক গাড়ি দেওয়া যাবে হলফনামায় ঢাকায় ফ্ল্যাট/বাড়ি থাকলে সরকারি বাড়ি বরাদ্দ বন্ধ।

এমপি/মন্ত্রী কোনো বিদ্যালয়, মন্দির, মসজিদ, মাদ্রাসা, ক্লাব, সংঘ, সমিতির সর্বোচ্চ পদে থাকতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, মেয়ররা যাতায়াতে রাস্তা বন্ধ করতে পারবেন না। নির্বাচনে টাকার খেলা ও শোডাউন কঠোরভাবে বন্ধ।

নির্বাচনে সন্ত্রাস, গুন্ডামী, প্রশাসনিক ম্যানিপুলেশন, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় রাজনৈতিক ব্যবহার রোধ। দ্বৈত নাগরিক নির্বাচন ও ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা চালু।ভোট প্রদানে যে কোনো বাধাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করা। ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখা।

গুরুতর অনিয়ম ও জ্বালিয়াতির কারণে নির্দিষ্ট কেন্দ্র বা গোটা আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা কমিশনের হাতে রাখা।

পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145366