সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি ঢাবি প্রশাসনের আহ্বান
ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিছু পোস্ট ও মন্তব্যে ধর্ম, বিশ্বাস ও সংস্কৃতি নিয়ে অবমাননাকর আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও সরাসরি ব্যক্তি পর্যায়েও এমন আচরণ দেখা যাচ্ছে বলে প্রশাসনের ভাষ্য। এসব আচরণকে “অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত” হিসেবে উল্লেখ করেছে তারা।
শনিবার (১ নভেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সহমর্মিতা ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করছে। সেজন্য পারস্পরিক সম্মানবোধ ও সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রত্যেক বিবেকবান নাগরিকের দায়িত্ব। দেশ ও জাতির সংকটকালে ঢাবি শিক্ষার্থীরা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, সম্প্রীতির উদাহরণ প্রতিষ্ঠাতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে—এমন প্রত্যাশা প্রশাসনের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্ম ও সংস্কৃতিকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা বা এ নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এ ধরনের যেকোনো অপতৎপরতা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষ দ্বিধা করবে না বলেও জানানো হয়।
সকল শিক্ষার্থীর উদ্দেশে প্রশাসনের আহ্বান—ঘৃণা বা হিংসা উসকে দেয় এমন আচরণ থেকে বিরত থাকা এবং সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী হিসেবে পারস্পরিক সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির উদাহরণ তৈরি করা।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/145059