বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : বাগমারায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ৩ বছর আগে নির্মিত পলিনেট হাউজ কোন কাজে আসছেনা। নির্মাণের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় অনেকটা পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে এটি। উপজেলা সদর থেকে ৫ কি.মি. পূর্বে যাত্রাগাছী নামক স্থানে আহসানগঞ্জ-ভবানীগঞ্জ রাস্তার ধারে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এ পলিনেট হাউজ।
জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত পরিবেশে বছরব্যাপী নিরাপদ ফসল উৎপাদনে নির্মিত পলিনেট হাউজে ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রকলি, স্কোয়াশ, স্ট্রবেরি, মেলন, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল। ২৫ শতক জমির উপর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এটি নির্মাণ করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলিনেটের অভ্যন্তরে ঘাস ও আগাছায় ভরে গেছে। আনুমানিক হাফ শতক জায়গায় কয়েকটি ফুলগাছ ও সবজির চারা রয়েছে। অভ্যন্তরেই রয়েছে একটি প্রদর্শনী সাইনবোর্ড। যেখানে লেখা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ প্রদর্শনী। তবে সেখানে নেই কোনো টমেটোর চারা বা গাছ। সাইনবোর্ডে কৃষকের নাম মো. আব্দুল মান্নান ও ব্লকের নাম যাত্রাগাছী।
জানা যায়, যে চাষির নামে পলিনেট স্থাপন করা হয়েছে সেটি নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। পলিনেট হাউজটি দুলাল নামে এক চাষির নামে বরাদ্দ করা হয়েছে। তার বাড়ি পলিনেট হাউজ থেকে ৫/৬ কি.মি. দূরে মাড়িয়া গ্রামে। কিন্তু দুলালকে পলিনেটে কখনো দেখতে পায়নি এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে দুলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সেটি তার নামে বরাদ্দ হয়েছে। তবে মালিকানা এখন তার নেই।
এদিকে যাত্রাগাছী গ্রামের আব্দুল মান্নানের জমিতে এটি স্থাপন করা হয়েছে। তিনি এই পলিনেটের মালিক বলে জানান। কৃষক আব্দুল মান্নানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পলিনেট হাউজে বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে কোন উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ৩ বছর আগে নির্মিত পলিনেট হাউজে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে কর্তৃপক্ষ প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, পলিনেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এটি করা হয়েছে। এ ব্যপারে কোন কিছু জানতে চাইলে সেখানে প্রশ্ন করার কথা জানান তিনি।